ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি দেশটির জনগণ। সংসদকে পাশ কাটিয়ে ম্যাক্রোঁর এই কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারাও।
এই পরিস্থিতিতে তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। খবর রয়টার্সের।
রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আজ ম্যাক্রোঁ ও তার সরকারের ওপর অনাস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
যদিও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিই তার সরকারের জন্য বিব্রতকর। এরই মধ্যে মধ্যপন্থি দল প্রথম অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে সমর্থন জানিয়েছে উগ্রডানপন্থি নুপেস জোটও। এছাড়া অপর উগ্রডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। সংসদে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোঁর দল। তবে তা সত্ত্বেও একাধিক দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি এগিয়ে যেতে ডানপন্থি, বামপন্থি ও মধ্যমপন্থিসহ সব দলের একজোট হতে হবে।
কনজারভেটিভ লঁ রিপাবলিকান নামের একটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে এ ধরনের কোনো জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে ম্যাক্রোঁর এই কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সাধারণ জনতা। এতে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের রাজনীতি।