শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা বাড়াতে নতুন যে সংস্কার আনছে চীন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম
আইন পাশ করে ক্ষমতার মাত্রা বাড়াতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মিলিত হয়েছেন দেশটির আইন প্রণেতারা। আর এর মাধ্যমে চীনের সরকার এবং অর্থনীতির ওপর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তপোক্ত হতে চলেছে।
এছাড়া চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিনপিংয়ের তৃতীয় মেয়াদ এবং তার দলের শীর্ষস্থানীয়দের নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের এ অধিবেশনে এশিয়ার পরাশক্তি দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি হবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাবেন বর্তমানে এই পদে আসীন লি কেকিয়াং।
বিবিসি বলছে, দুই সেশনে এটি হবে বার্ষিক অধিবেশন; কিন্তু এ বছরের অধিবেশন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধিরা কমিউনিস্ট পার্টিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার তথা পুনর্নির্মাণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, বেসরকারি ব্যবসায় ‘প্রভাব বিস্তারের কাজকে আরও শক্তিশালী করার’ পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তির কাজ তত্ত্বাবধানকারী সংস্থাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করবে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
বিবিসি বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপগুলো সম্ভবত চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকারের মধ্যকার লাইনগুলোকে আরও অস্পষ্ট করবে এবং বেসরকারি খাতে পার্টির নিয়ন্ত্রণকে আরও দৃঢ় করবে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চলমান দুর্নীতি দমন অভিযানের মধ্যে চীনে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক হাই-প্রোফাইল চীনা ব্যবসায়ীদের গুম হয়ে গেছেন। নিখোঁজ হওয়া চীনা এসব হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশেষ ব্যক্তি ছিলেন প্রযুক্তি খাতে চীনের শীর্ষ ডিলমেকারদের একজন।
এছাড়া এই সপ্তাহের সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বকেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হবে। এতে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নির্বাচিত হবেন। এর আগে জিনপিং গত বছরের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করেন।
ওই সময় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তৃতীয় মেয়াদের জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিনপিংকে পুনরায় নির্বাচিত করেছিল। মূলত কমিউনিস্ট চীনের প্রথম নেতা মাও সেতুং ছাড়া দলের অন্য কোনো নেতা এতদিন দায়িত্ব পালন করেননি।
এর আগে ২০১৮ সালের সভায় আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদের সীমা অপসারণের অনুমোদন দেন। আর এর মধ্য দিয়ে শি জিনপিং কার্যত আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার সুযোগ পেয়ে গেছেন বলে সমালোচকরা দাবি করে থাকেন।