অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। ছবি: বিবিসি
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বেলারুশের একটি আদালত। তিনি দেশটির একজন শীর্ষ মানবাধিকারকর্মী। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গত বছর বিয়ালিয়াৎস্কির সঙ্গে যৌথভাবে শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস।
খবরে বলা হয়েছে, অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি যখন পান, তখন তিনি বেলারুশের কারাগারে বন্দি ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছিল। ১৯৯৬ সালে ভিয়াসনা (বসন্ত) নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কির প্রতিষ্ঠিত সেই সংগঠন পরবর্তীতে ব্যাপক প্রসার লাভ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। অ্যালেসের এই সংস্থা রাজনৈতিক বন্দিদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের জুলুম-নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্তকরণ এবং এর প্রতিবাদ করে আসছে। সেই সঙ্গে রাজবন্দিদের সহায়তাও করে আসছে সংগঠনটি।
বেলারুশের নিরাপত্তাবাহিনী ২০২০ সালে সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অপরাধে বিয়ালিয়াৎস্কিকে আটক করে। ওই বছর বেলারুশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। কিন্তু বিরোধী দলগুলো ওই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। এর প্রতিবাদে ওই বছর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
বেলারুশের নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযোগ, অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি ও তার সংগঠন সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে মদদ ও অর্থায়ন করেছে। দেশটির আদালত বিয়ালিয়াৎস্কি ছাড়াও তার মানবাধিকার সংস্থার আরও কয়েকজন সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
আলোচিত এই মানবাধিকার কর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেতা সোভিতেলানা তিসিখানোসকায়া। তিনি বলেছেন, এটি নির্লজ্জ অবিচার।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন বেলারুশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। পশ্চিমা দেশগুলো তাকে আধুনিক ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করে থাকে।