তুরস্কে গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (আফাদ) জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত কেবল তুরস্কেই মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৪২ জনে। খবর ডেইলি সাবাহর।
এদিকে তুরস্কের পরিবেশ, জলবায়ু ও নগর পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী মুরাত কুরুম গত শুক্রবার জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে দেশটির ১০ প্রদেশের ৮৪ হাজার ৭২৬টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেবল আদানা প্রদেশের ক্ষতি নিরুপণের জন্য ৭ হাজার ৩০০ কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, মার্চেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করবেন। ১১ লাখ নতুন ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
১৩ দিন পর তুরস্কে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার: ভূমিকম্পের ১৩ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন তুরস্কের উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, হাতায় প্রদেশের রাজধানী আন্তাকিয়ার কানাটলি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের নিচে ২৬৯ ঘণ্টা চাপা ছিলেন তিনজন।
উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা একজন পুরুষ ও একজন নারীকে স্ট্রেচারে করে একটি অপেক্ষমাণ অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তাদের পাশেই এক শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের কাছে। তুরস্কের সম্প্রচার মাধ্যম টিআরটি জানায়, একই ভবন থেকে আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা করা হচ্ছে।
এ জন্য অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত ছিল। এদিকে ঘানার ফুটবল খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান আতসুকে শনিবার দক্ষিণ তুরস্কে তার বাসভবনের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আতসুর তুর্কি ক্লাব হাতায় পোর টুইটারে লেখে— ‘আমরা তোমাকে ভুলব না, আতসু। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’