তিব্বতি শিশুদের আত্মপরিচয় বিমুখ করা নিয়ে উদ্বেগ জাতিসংঘের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩৯ এএম
আনুমানিক ১০ লাখ তিব্বতি শিশুকে জোরপূর্বক তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে জানিয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের তিনজন গবেষক
এসব শিশুদের চীনা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করে তুলতে আবাসিক স্কুলে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।খবর এএফপির।
গবেষকদের দাবি, তিব্বতি শিশুদের তাদের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি থেকে বিরত রাখতেই চীনা সরকার তাদের চীনা আবাসিক স্কুলে পাঠদানে বাধ্য করছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে ওই তিন গবেষক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তিব্বতি শিশুদের আবাসিক স্কুলে পাঠদানে বাধ্য করায় বোঝা যাচ্ছে চীন তিব্বতি শিশুদের তাদের বৃহৎ হান সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করে গড়ে তুলতে এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সংখ্যালঘুদের সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এসব স্কুলগুলোতে শিক্ষা সিলেবাস হান সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে, যেখানে তিব্বতি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরো বলেন, তিব্বতি শিশুরা এখনই তাদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদি ও বৃদ্ধ মানুষদের সঙ্গে মাতৃভাষায় কথা বার্তা বলা ভুলতে শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে তাদেরকে জোরপূর্বক নিজ আত্মপরিচয় থেকে বিমুখ করা হচ্ছে।
তিব্বতি শিশুদের তাদের আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে বিমুখ করতে চীনা সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে বিশ্লেষকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।