Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হাতে এনসাইক্লোপিডিয়া লিখে তাক লাগালেন গ্যাবাটিস

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম

হাতে এনসাইক্লোপিডিয়া লিখে তাক লাগালেন গ্যাবাটিস

জোস গ্যাবাটিস। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

জোস গ্যাবাটিস যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট অক্সফোর্ডশায়ার কাউন্টির বাসিন্দা। তিনি পেশায় জলবায়ুবিষয়ক সাংবাদিক। পেশার পাশাপাশি তার একটি শখ হলো হাতে এনসাইক্লোপিডিয়া লেখা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

জোস গ্যাবাটিস এনসাইক্লোপিডিয়া লেখা শেষ করে সম্প্রতি টুইটারে পোস্ট দেন। তিনি বলেন, ‘প্রাণীবিষয়ক একটি বইয়ের আদলে তিনি এটি লিখেছেন।’

২০০১ সালে জোস গ্যাবাটিসের বয়স যখন ৯ বছর তখনই জীবন্ত প্রতিটি প্রাণীর এনসাইক্লোপিডিয়া লেখার ঝোঁক তার মাথায় চেপে বসে। যেই ভাবা, সেই কাজ।

‘জোস’স বুক অব অ্যানিমেলস’ নামে এনসাইক্লোপিডিয়া লেখা শুরু করেন তিনি। পুরোটাই হাতে এঁকেছেন ও লিখেছেন। আঁকা ও ব্যাকরণ ঠিক রেখেছেন।

জোস ২০০১ সালে প্রবাল, কীট ও জেলিফিশের তথ্য নিয়ে লেখার কাজ শুরু করেন। ৩০ বছর বয়সে প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীর এনসাইক্লোপিডিয়া হাতে লিখে শেষ করেন। পুরো বিষয়টি কিছুটা কষ্টদায়ক ছিল বলে মনে করেন তিনি।

জোসের বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১১৮ । বইটিতে প্রাণীদের অমেরুদণ্ডী, মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ মোট ছয়টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের শেষে একটি সূচি রয়েছে।

মাছ, উভচর, সরীসৃপ এবং এরপর পাখি নিয়ে কাজ করেছেন জোস। তিনি বলেন, ‘কাজ করতে করতে কৈশোরের শুরুর দিকে বিশ্বকোষটির শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। ...কিন্তু কৈশোরের শেষদিকে এসে দেখি, বিষয়গুলো অনেক বেশি বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’

জোস জানান, তিনি বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর তথ্য দিতে পেরেছেন। এ বিভাগে আর তিন পৃষ্ঠা বাকি থাকতেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হয় তার। পড়াশোনার এ সময়ে কাজ বন্ধ রাখতে হয় তাকে। পরে করোনার লকডাউনের সময় আবার কাজে মন দেন তিনি। এ সময় তিনি গাছের গুঁড়ি ও উড়ন্ত লেমুরসহ আরও কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এরপর গত মাস পর্যন্ত আবারো লেখার কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি।

জোস টুইটার পোস্টে লেখেন- এই মাসে শিম্পাঞ্জির ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রকল্পটি শেষ হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম