ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও এগিয়েছে রাশিয়া। একের পর এক জায়গা দখলে নিচ্ছে দেশটি। সেখানে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হয়ে পড়েছে, জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডসহ পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো থেকে ট্যাংক আসার আগেই দেশটির বহুলাংশ দখলে নিতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুত শহর দখলে নিয়েছেন রাশিয়ার সেনারা।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার মাধ্যমে বর্ষপূর্তি উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, বাখমুত ও এর আশপাশের ১০টি শহর ও গ্রাম ইউক্রেনের অধীনে চলে গেছে।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের আভদিভকা শহরটিও রাশিয়ার টার্গেটে রয়েছে, এমনটিও জানিয়েছেন ইউক্রেনের ওই সামরিক কর্মকর্তা।
বুধবার বাখমুতের ৩৪ মাইল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ক্রামাতোৎস্ক শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন, জানিয়েছে পুলিশ। এতে ২০ পুলিশ সদস্য আহতের খবরও পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের ধারণা, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনে নতুন হামলার জন্য ৫ লাখ সেনা সংহতির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মস্কো। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও তিন লাখ সেনা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার্থে এই সেনা সংহতির প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন পুতিন।
ওলেক্সি রেজনিকভের মতে, ইউক্রেনে মস্কোর মোতায়েন সামরিক সদস্যের সংখ্যা প্রকৃত অর্থে অনেক বেশি হতে পারে। সব মিলিয়ে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে মার্কিনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়্যার (আইএসডব্লিউ) বলছে, মস্কো পূর্ব ইউক্রেনে একটি ‘বড় আক্রমণ’ শুরু করতে পারে।
কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ বলেন, ইউক্রেনের কমান্ডাররা রুশ বাহিনীর অগ্রসরের আগেই পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেবেন এবং প্রতিহত করবেন। আমি বিশ্বাস করি যে ২০২৩ সাল বিজয়ের বছর হতে পারে।