জেসিন্ডা আরডার্ন: ঐক্যবদ্ধ নিউজিল্যান্ড গড়ার কারিগর
সজীব হোসেন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
জেসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: সংগৃহীত
টানা ছয় বছর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। অশ্রুসিক্ত হয়ে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে তার অব্যাহতির ঘোষণা অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। বিশ্বে সবচেয়ে অল্পবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেন তিনি।
বয়স অল্প হলেও জ্ঞান-গরিমায় অভিজ্ঞতার পরিচয় দেন জেসিন্ডা। করোনাকালে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন জেসিন্ডা। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত ছিল করোনার সময়কাল। এই কঠিন সময়ে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন ৪২ বছর বয়সি এই নারী।
করোনাকালে যখন বিশৃঙ্খালায় পূর্ণ গোটা বিশ্ব তখন ঠাণ্ডা মাথায় দেশকে রক্ষা করেছেন জেসিন্ডা। সেই সময়ে করোনা ঠেকাতে জিরো কোভিড নীতি অবলম্বন করে দেশটি। সীমানা বন্ধেও কঠোর হয় জেসিন্ডার সরকার। এর ফলে করোনার ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা পায় দেশটি।
জাতির এ দুঃসময়ে ফেসবুক লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সরাসরি জনসাধারণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জেসিন্ডা। এ সময় করোনা ঠেকাতে কী কী করণীয় তা তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে কখন কী করণীয় তার নির্দেশনাও দেন জেসিন্ডা।
২০১৯ সালে যখন অস্ট্রেলিয়ায় দুটি মসজিদে হামলায় ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয় তখনো তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। তখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দানকালে সন্ত্রাসীদের নামও উচ্চারণ করেননি জেসিন্ডা। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাপক সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন এই নেত্রী। এর মাধ্যমে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাম্যবাদের পরিচয় দিয়েছেন জেসিন্ডা।
আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব শেষ হবে তার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরে দাঁড়ালেও নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য অনুপ্রেরণার ঝুলি রেখে যাচ্ছেন তিনি। তার যোগ্য, সদয় নেতৃত্ব চিরকাল স্বরণ রাখবে নিউজিল্যান্ডবাসী।
জিও নিউজে লেখা আমানত আলী চৌধুরীর নিবন্ধ থেকে অনুবাদ করা।