ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লবণ খনির শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে মিলিশিয়া গ্রুপ ওয়াগনার বাহিনী।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহরটির কেন্দ্রে এখনো যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার জন্য এ শহর দখলে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পার্শ্ববর্তী কৌশলগত শহর বাখমুত ও ইউক্রেনের বৃহত্তর পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চল পুরো দখলে নেওয়ার জন্য সোলেদার দখল রাশিয়ার জন্য জরুরি। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের কোনো সামরিক কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, ওয়াগনার সেনারা সোলেদারের পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শহরের কেন্দ্রস্থলে যুদ্ধ পরিস্থিতি রয়েছে। সেখানে এখনো লড়াই চলছে।
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যরাতের মধ্যে আত্মসমর্পণের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বন্দি ইউক্রেনীয় সেনাসংখ্যা দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
লবণ খনির শহর সোলেদার বাখমুত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। এটির দখল নিলে রাশিয়াকে সামরিক, বাণিজ্যিকভাবে অনেক শক্তিশালী করবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপ সোলেদারের লবণ খনির দখল নিয়েছে। প্রিগোঝিন তার ভাড়াটে যোদ্ধাদের সঙ্গে লবণের খনির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চার দিন ধরে অগ্রসর হওয়ার পর রুশ সেনা ও ওয়াগনার যোদ্ধারা সোলেদারের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার নিয়মিত ভিডিও ভাষণে সোলেদারের নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করেননি।
কয়েক মাস ধরে ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধারা বাখমুত ও সোলেদার দখলের জন্য লড়াই করে চলেছে এবং এতে উভয় পক্ষেই বহু প্রাণহানি হয়েছে। সোলেদারের দখল নিতে পারলে এটি হবে আগস্টের পর 'বিশেষ সামরিক অভিযানে' রাশিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। ২০২২ সালের মাঝামাঝি দেশটি ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।