Logo
Logo
×

বিনোদন

পুলিশের ভুলে বউ ও চাকরি দুটোই হারালেন সেই যুবক

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

পুলিশের ভুলে বউ ও চাকরি দুটোই হারালেন সেই যুবক

মুম্বাইয়ের একটি একটি ভ্রমণ সংস্থার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন ৩১ বছর বয়সি আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া।  ছোটবেলা থেকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে জীবনের এতগুলো বছর পর এই জায়াগায় এসেছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে নতুন জীবন শুরু করার জন্য বিয়ের জন্য কনেও ঠিক হয়।  কিন্তু সবকিছু্ একমুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে আকাশের। 

বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় সন্দেহ করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তার মিল না পাওয়া নিজেদের ভুল বলে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু এরইমাঝে নিজের জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে যায় আকাশের।  খবর প্রকাশের পর বিয়ে ভেঙে দেয় কনেপক্ষ, জীবিকার একমাত্র অবলম্বন গাড়ির চালানোর কাজ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় পুলিশ। বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কটাক্ষ। পুলিশ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিলেও এ অভিযোগ এখনো পেছন ছাড়ছে না আকাশ ও তার পরিবারের। 

আকাশ জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি ট্রেন দিয়ে হবু শশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। সেই ট্রেন থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় রেল পুলিশ। 

সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আকাশ বলেন, পুলিশ আমাকে শুধু আটকই করেনি। আমার ছবি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতিও দিয়েছিল। তার ফলে আমার চাকরি গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বিয়ের সম্বন্ধও। 

পুলিশ তাকে আটকের পর কোনো তথ্য যাচাই না করেই সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে দয়ে বলে আকাশের দাবি। যার ফলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার ছবি। 

আকাশ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে যার ছবি দেখা গিয়েছে, তার তো দাড়ি-গোঁফ নেই। আমার গোঁফ আছে। পুলিশ সেটাই দেখতে পেল না! অথচ তারা অভিনেতার বাড়ি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল।

আটকের পর পুলিশ তাকে চরম হেনস্থা করে বলে আকাশ দাবি করেন। সেসময় কোনো রকমে নিজের মালিকের সঙ্গে ফোন করেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু জানতে পারেন, ইতোমধ্যে তার আটকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র এবং বিয়ে ভেঙে দিয়েছে পাত্রীপক্ষ। আর গাড়ি চালকের চাকরি থেকেও অব্যহতি পেয়েছেন। 

এ ঘটনার একদিন পর সাইফকে হামলার অভিযোগে মুম্বাইয়ের ঠান এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার তদন্ত প্রতিনিয়ত নতুন মোড় নিচ্ছে। এরইমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিল নেই শরিফুলেরও। এমনকি সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি আঙুলের ছাপের সঙ্গেও শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম