Logo
Logo
×

ভারত

রুশদির বিতর্কিত সেই বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল ভারতের আদালতে

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পিএম

রুশদির বিতর্কিত সেই বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল ভারতের আদালতে

যুক্তরাজ্যের লেখক সালমান রুশদির লেখা বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে ভারতের উচ্চ আদালতে।উপন্যাসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ রয়েছে।

ভারতের আদালতের নির্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক রুশদির জন্ম ভারতে।১৯৮৮ সালে ভারতে তার উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর নিষিদ্ধ করা হয়।দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সন্দীপন খান নামের এক পাঠক এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।তার প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে ওই মামলার রায়ে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির হাইকোর্ট।

আদালত জানিয়েছে, বিবাদী পক্ষের কোনো প্রতিনিধি এই বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মূল প্রজ্ঞাপন বা এ সংক্রান্ত কোনো আদেশের প্রতিলিপি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।ফলে, সন্দীপন এখন চাইলে বইটি দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে পারবেন বা কিনে নিয়ে আসতে পারবেন।

১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভাইকিং পেঙ্গুইন নামের প্রকাশনী বইটি প্রকাশ করেছিল। বইটি সমালোচকদের কাছ থেকে বিপুল প্রশংসা পায়।তবে অনেক মুসলিম এই বইটিকে ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে বিবেচনা করেন।এরপর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী মুসলিম ভোটারদের সহানুভূতি আদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বইটি প্রকাশের এক মাসের মাথায় এর আমদানি নিষিদ্ধ করেন।পরবর্তীতে বিশ্বের ২০টি দেশে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।

ইসলাম ধর্মের অবমাননার দায়ে ১৯৮৯ সালে উপন্যাসটির লেখক সালমান রুশদিকে হত্যার নির্দেশ দেন ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি।একই সঙ্গে রুশদিকে হত্যা করতে সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানান ধর্মীয় নেতা। 

‘রুশদির মাথার’ জন্য ২৮ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পর তাকে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তায় রাখে যুক্তরাজ্য। এরপর বেশ কয়েকবছর আত্মগোপনে ছিলেন ৭৭ বছর বয়সি এই লেখক।পরে আবারও প্রকাশ্যে আসেন রুশদি।

এরপর ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন এই লেখক।ওই হামলায় একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি।পরবর্তীতে এই হামলার সঙ্গে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম