কলকাতায় চিকিৎসক হত্যার মামলা
আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ ও ওসি গ্রেফতার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
অবশেষে ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। যদিও আগেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গেফতার ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার তথ্য-প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র এবং নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর দায়ের করার অভিযোগে ওসিকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলার শুনানির কথা রয়েছে। এর ৭২ ঘণ্টা আগেই এই গ্রেফতারকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ধর্ষণ ও খুনের পর তাদের কার্যকলাপ সারা দেশে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল।
আলোচিত এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা না করে ফিরে আসার কয়েক ঘণ্টা পর এ গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। যদিও আগেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন তিনি।
এবার আরজি করের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তাকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে টানা ১৬ দিন ধরে ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সিবিআইকে ভুল তথ্য-প্রমাণ দিতে থাকেন অভিজিৎ মন্ডল। ফলে শনিবার রাতে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ আগস্ট আরজি করের ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সিবিআইয়ের হাতে দায়িত্ব যাওয়ার পরই ওসি অভিজিৎ মন্ডল শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করে।
হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সন্দীপকে। বিশেষত কেন তিনি এফআইআর দায়ের করেননি তা নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন।