Logo
Logo
×

ভারত

হিজাবে আপত্তি জানিয়েও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার আইন কলেজের 

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০২:১২ পিএম

হিজাবে আপত্তি জানিয়েও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার আইন কলেজের 

কর্ণাটকের পর এবার হিজাব বিতর্কে জড়াল পশ্চিমবঙ্গের একটি আইন কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা একটি বেসরকারি আইন কলেজের একজন নারী শিক্ষক কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব না পরার অনুরোধ করা হয় কলেজের পক্ষ থেকে। এরপরেই ওই শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে তিনি ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দেন। 

যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।  জানা যায়, আবার ওই কলেজে কাজে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষক।  খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

জানা যাচ্ছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব পরতে বাধা দেওয়ায় ওই কলেজের শিক্ষক সানজিদা কাদের গত ৫ জুন পদত্যাগপত্র জমা দেন।  তাতে তিনি উল্লেখ করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের হিজাব বিরোধী নীতির কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তার অভিযোগ, তাকে হিজাব খুলে কলেজে আসতে বলা হয়েছিল। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মূল্যবোধে আঘাত করার কারণে তিনি পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হয়েছেন। 

সানজিদা বলেন, ‘একজনকে জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করা যেমন অপরাধ, তেমনি জোর করে হিজাব খুলতে বাধ্য করাও হল সমান অপরাধ।’

সানজিদা এলজেডি আইন কলেজের শিক্ষক। প্রায় আড়াই বছর ধরে তিনি ওই কলেজে শিক্ষকতা করছেন। তবে গত রমজান মাস থেকে তিনি হিজাব পরে কলেজে আসা শুরু করেন। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে মৌখিকভাবে সানজিদাকে হিজাব পড়তে নিষেধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে গত ৩১ মে পোশাক বিধি জারি করে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। 

এদিকে এ ঘটনার পরে সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হন সানজিদা।  বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন।  শিক্ষার্থীরা তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।  অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হিজাব ধর্মীয় চিহ্ন বলে বাতিল করা হলে সে ক্ষেত্রে শাখা-সিঁদুরের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না কেন? 

রাজ্যের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেবড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। তিনি ওই আইন কলেজের পরিচালন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 

সোমবার তিনি সানজিদাকে সঙ্গে নিয়ে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এতে বিষয়টি সমাধানে আসে। 

কলেজের চেয়ারম্যান গোপাল দাস বলেন, ‘আমরাও চাই না ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি হোক। কারণ আমরা সব সময় একসঙ্গে থাকতে ভালোবাসি। আমরা ওড়ানার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। সেটাকে তিনি মাথায় জড়িয়ে হিজাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

এদিকে জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে সানজিদার আইন কলেজে যোগদান করার কথা। সানজিদা বলেন, ‘সংবিধানে আমাকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে সেই অধিকার কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারে না। যারা আমার লড়াইয়ের সঙ্গে ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম