Logo
Logo
×

ভারত

আবার উত্তপ্ত ইম্ফল

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৩, ১০:৪৫ এএম

আবার উত্তপ্ত ইম্ফল

ফাইল ছবি

ভারতের রাজধানী ইম্ফলে হিংসা যেন থামছেই না। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে সেনা সদস্যরা।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় গুলির আঘাতে নিহত এক সাবেক নৌসেনা কর্তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ইম্ফলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। এতে নেতৃত্ব ছিলেন নারীরা। প্রথমে ওই অফিসারের দেহ ইম্ফলের জনবহুল খোয়াইরামবন্দ বাজারে আনা হয়। পরে লাশটি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বাসভবনের সামনে দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ যাতে তাদের গ্রেফতার করতে না পারে, তাই রাস্তার মধ্যে টায়ারও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনা এবং পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওই নৌসেনা কর্তার লাশ ‘জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স’-এর মর্গে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার টুইটার হ্যান্ডল ‘স্পিয়ার কর্পস’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মণিপুরের হারাওথেল গ্রামে টহল দেওয়ার সময়ে হঠাৎই ভোরের দিকে সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে অজ্ঞাতপরিচয়ধারীরা। 

সেনা সদস্যরা জানায়, ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ এড়াতে পাল্টা গুলি চালায় তারাও। বিপুল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে উন্মত্ত জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা।

মণিপুরে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ধারাবাহিক হিংসায় নিহতের স‌ংখ্যা অনেক আগেই একশো পার করেছে। ঘরছাড়া রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক করলেও পরিস্থিতিতে বদল আসেনি।

গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই থেকেই মণিপুরে সংঘাতের সূত্রপাত।

মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। এমনকি পৃথক রাজ্যের দাবিও তুলেছে কুকিরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম