পদাধিকার হিসেবে যুবরাজ হ্যারি হলেন সাসেক্সের ডিউক এবং মেগান মার্কল
হলেন ডাচেস অফ সাসেক্স। নিজের ৪০তম জন্মদিনের রাতটা স্ত্রীর সঙ্গে কাটানোর বদলে বন্ধুদের
সঙ্গে হাইকিংয়ে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তবে কি মেগান মার্কলের
সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে তিনি? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
গুঞ্জনের মাঝেই তাদের পাবলিক রিলেশন প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে, পেশাগত দিক থেকে আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। তবে তাদের বিচ্ছেদ
হচ্ছে না। সাময়িকভাবে একসঙ্গে দেখা যাবে না তাদের। জনসমক্ষে খুব বেশি একসঙ্গে ধরা দেবেন
না এ দম্পতি।
বিনোদন সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম রাডারঅনলাইন-এর খবর অনুযায়ী, ডিউক
অফ সাসেক্স সম্প্রতি আফ্রিকার লেসোথোতে তার ৪০ তম জন্মদিন পালন করেন বন্ধুবান্ধবদের
সঙ্গে। যেখানে তার পরিবার উপস্থিত ছিল না। সাংবাদিকের নিশ্চিত ধারণা, হ্যারির এই কাজই
প্রমাণ করে তার সঙ্গে মার্কলের সম্পর্কে চিড় ধরে গিয়েছে। রাজদম্পতি এতকাল বিভিন্ন
সামাজিক অনুষ্ঠানে যুগলেই যেতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তাদের একসঙ্গে আর জনতার মাঝে
দেখা যাচ্ছে না।
স্টার ম্যাগাজিন লিখেছে, হ্যারি আফ্রিকা ছাড়াও নিউইয়র্কেও একলা গিয়েছিলেন।
যেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি এবং খোলামেলা লেগেছিল। পত্রিকার সূত্র জানিয়েছে, হ্যারি সাধারণ
অতিথিদের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাণখোলা ব্যবহার করেছেন। সেই পত্রিকারও মতে, হ্যারি এবং মেগান
পরীক্ষামূলকভাবে সেপারেশনের পথে চলেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের সম্পর্ক আর টেকার
পথে যাবে না। ৪৩ বছর বয়সি মেগান মার্কলের অতি নিয়ন্ত্রণবাদী মনোভাবের সঙ্গে এঁটে উঠতে
পারছেন না যুবরাজ।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটের সঙ্গেই
রয়েছেন মেগান মার্কল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাকি স্বামীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে যেতে
পারেনি মেগান। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি আসন্ন নেটফ্লিক্সের শো এবং ব্র্যান্ডের কাজ নিয়ে
ব্যস্ত। যদিও হ্যারি ও মেগানের বন্ধুরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন এখনও আদর্শ এবং সুখী
দম্পতি হিসেবেই রয়েছেন দু’জনে। তবে পেশাগত দিক থেকে ভিন্ন রাস্তা বেছে নিয়েছেন তারা।
হলিউডে হাত পাকাচ্ছেন মেগান। সঙ্গে চলছে তার ব্যবসায়িক প্রজেক্টও। হ্যারি এ দিকে ব্যস্ত
পারিবারিক কাজকর্ম নিয়েই। যদিও এই গুজবের মধ্যে রাজপুত্র ও যুবরানি সম্প্রতি পর্তুগালে
একটি খামারবাড়ি কিনেছেন। পর্তুগালে এই সম্পত্তি কেনার ফলে হ্যারি ও মেগান ইউরোপীয়
ইউনিয়নের গোল্ডেন ভিসাও পেয়েছেন।