বায়োপিক আসছে মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়াসের। নিজের বায়োপিকের কথা এক্সে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন তিনি। ব্রিটনি লিখেছেন— গোপন এই প্রজেক্টের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত বোধ করছি। সঙ্গে থাকুন।
অনেক দিন ধরেই গানে নেই ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ২০২১ সালে বাবার অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পান গায়িকা। ১৩ বছরের ‘বন্দিদশা’ থেকে অবশেষে মুক্তি পান তিনি। মার্কিন এই পপ তারকার ওপর থেকে তার বাবা জেমস স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব তুলে নেন আদালত।
এর পর থেকে ইনস্টাগ্রামে কেবল বিনোদনধর্মী কনটেন্ট পোস্ট করেছেন এ গায়িকা। এর মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে এমনও কথা বলেছেন— আবার তার গানে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ব্রিটনির বায়োপিক কবে পর্দায় দেখা যাবে, গায়িকার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন—সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্রিটনির প্রথম অ্যালবাম ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ মুক্তি পায়।
অল্প বয়সে পাওয়া তারকাখ্যাতি, সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা, বাবার অভিভাবকত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই—সব মিলিয়ে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবন ঘটনাবহুল। তাই গত বছরের অক্টোবরে যখন তার জীবনী ‘দ্য ওম্যান ইন মি’ প্রকাশিত হয়, রীতিমতো ঝড় তোলে।
নতুন খবর— এবার পর্দায় আসছে ব্রিটনির জীবন। মার্কিন চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ব্রিটনির বায়োপিক নির্মাণ করবেন জন এম চু।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয় ব্রিটনির জীবন নিয়ে লেখা বই ‘দ্য ওম্যান ইন মি’। বইটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২৫ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। বহুল চর্চিত এই বইয়ের স্বত্ব কিনে নিয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ইউনিভার্সাল পিকচার্স।
বইটিতে ব্রিটনির তারকা হয়ে ওঠার গল্প যেমন উঠে এসেছে, তেমনি জায়গা পেয়েছে বাবার অভিভাবকত্বে থাকার সময়ে তার মানসিক অবস্থার বয়ানও। সৎভাবে সম্পর্ক, নিজের আত্ম–উপলব্ধি তুলে ধরার জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন গায়িকা। জানা গেছে, সিনেমাটিতেও থাকবে এসব প্রসঙ্গ।
বই প্রকাশের আগে এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটনি বলেছিলেন— আমি বইয়ে মন খুলে সব বলেছি। আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।’
কয়েক বছর ধরেই সংগীত ব্যক্তিত্বদের জীবনী পর্দায় নিয়ে এসে প্রশংসা কুড়িয়েছে ইউনিভার্সেল পিকচার্স। ২০১৫ সালে এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয় হিপহপ ব্যান্ড এন ডব্লিউ একে নিয়ে সিনেমা স্ট্রেইট কোটা কম্পটন, যা বক্স অফিসে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করেছে। ২০০২ সালে একই প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা ৮ মাইলও বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছিল। সিনেমাটি ছিল গায়ক এমিনেমকে নিয়ে। এ সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে অভিষেক হয় এমিনেমের। সূত্র: আনন্দবাজার