আগামী ২২ মার্চ বিশ্বনন্দিত কণ্ঠশিল্পী শাকিরার সংগীত জীবনের নতুন অধ্যায় সূচনা হতে চলেছে। সাত বছর বিরতির পর এ দিন প্রকাশ পাচ্ছে তার নতুন অ্যালবাম ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’। ইংরেজিতে যার নাম ‘উইমেন নো লংগার ক্রাই’ অর্থাৎ ‘নারীরা আর কাঁদবে না’। অ্যালবামের এ নামকরণ থেকে এটাই স্পষ্ট যে, এ সংকলন শুধু গানের নয়, দুঃখী এক নারীর জীবনের গল্প। একই সঙ্গে এ নামটি বদলে যাওয়া এই শিল্পীর দৃঢ় মনোবলের কথাও তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ শাকিরার ১২তম একক অ্যালবাম। এতে আছে মোট ১৬টি মিউজিক ট্র্যাক। যার মধ্যে একটি রিমিক্স গানের পাশাপাশি থাকছে আটটি মৌলিক গান। এছাড়া এতে যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ের আলোচিত সাতটি একক গানের ‘মিউজিক সেশনস ভলিউম’।
বিজার্যাপ, কোরাল জি, রাও আলজান্দ্রো ও ম্যানুয়াল তুরিজোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে তৈরি করা ‘ফিফটি থ্রি’, ‘টিকিউজি’, ‘তে ফেলিসিতো’ ও ‘কোপা ভাসিয়া’র মতো আলোচিত মিউজিক ট্র্যাকও থাকছে অ্যালবামে। সে কারণেই এ আয়োজনের কৃতিত্ব নিজের নয় বরং যারা এর শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তাদের বলে উল্লেখ করেছেন শাকিরা।
পাশাপাশি কলম্বিয়ান লেবানিজ এই সুপারস্টার এটাও বলেছেন, ‘অ্যালবামের প্রতিটি গান লিখতে গিয়ে নিজেকে ভেঙেচুরে নতুনভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। একইভাবে গান গাওয়ার মুহূর্তে নিজের অশ্রু আর দুর্বলতাকে রূপান্তর করেছি শক্তিতে; যাতে উঁচু স্বরে বলতে পারি– নারীরা আর কাঁদবে না।’
খ্যাতির চূড়ায় অবস্থান করেও ঘরসংসারকে প্রাধান্য দিয়েছেন শাকিরা। এর পরও স্বামী পিকের কাছে প্রতারিত হয়েছেন। এলোমেলো হয়ে গেছে দাম্পত্য জীবন। হাঁটতে হয়েছে বিচ্ছেদের পথে। এরপর আইনি জটিলতায় প্রিয় শহর স্পেনের বার্সেলোনা ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিষাদী সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকেই নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন শাকিরা। যার প্রমাণ তুলে ধরেছেন ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ অ্যালবামের গানগুলোয়।