পলিথিন নয়, শপিং ব্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে: রিজওয়ানা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশে পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। পলিথিন শপিং ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটা নতুন নয়। ২০০২ সালে উৎপাদনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সরকার শুধু তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
বুধবার ঢাকায় এক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জলবায়ু ফান্ডের অপব্যবহার হচ্ছে- এমন কথা জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। জ্বালানি সুবিচারসহ জীবনযাত্রা বদলাতে হবে। আর জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড নিয়ে আগের সরকারের করা অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হবে। ১০ কোটি টাকা রিসার্চের কাজে ব্যয় করার পরও কোনো ফল আসেনি। সঠিকভাবে ফান্ডের অর্থ ব্যয় হয় না। অপব্যবহারের কারণে তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে দাতারা।
তিনি বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের সমস্যা সমাধান চার মাসে সম্ভব নয়। এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অংশ। নদীদূষণ, খাল ভরাট, বায়ুদূষণসহ ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করা কঠিন। তবে কাজটা সরকারকে শুরু করতে হবে। ফান্ড পর্যাপ্ত না থাকলেও বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা আছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ ইটভাটাসহ পরিবেশদূষণে দায়ীদের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান শুরু হবে। ১৪টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে তারা মাঠে নামবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে নদী ও খাল দখল হচ্ছে। ঢাকার খাল পুনর্খনন ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। এতে ঢাকার ২১টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৮ শতাংশ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইএসএস) আয়োজিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনা : বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসাল আজম সরকার।
বক্তব্য দেন বিআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস, বিআইএসএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন নীলর্মি প্রমুখ।
সেমিনারে নীতিনির্ধারক, গবেষক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং কূটনীতিকরা বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি, লস অ্যান্ড ড্যামেজ মেকানিজমের অগ্রগতির ধীরগতি এবং বড় নির্গমনকারী দেশগুলোর শক্তিশালী প্রশমন লক্ষ্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসে।