টেন্ডার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে টেন্ডারের (দরপত্র) মাধ্যমে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটা ভাঙতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রয় প্রক্রিয়ায় 'পিপিএ-২০০৬' এবং 'পিপিআর-২০০৮' এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। এ কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব মুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে, আমরা বসেছিলাম এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন আনলে আমরা এই বিষয়টাকে এড্রেস করতে পারবো। এখানে কোন ঠিকাদার কাজ পাবে, কোন ঠিকাদার কাজ পাবে না, সেটা নিয়ে কথা হয়নি।
তিনি বলেন, কোন কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা ঠিক করলাম। সর্বনিম্ন এ টাকার কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না। যেভাবে করে টেন্ডারিং চলছে এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে আমরা এই সিন্ডিকেটটা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো, সেটা বোঝার জন্যই আজকের এই আলোচনা।
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়।
প্রকল্পের তথ্য প্রকাশ করা হয় না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আগে ত্রাণ দেওয়ার সময় একটা বোর্ডে লেখা থাকতো- এত মন গম, এত মন চাল। এটাই আমরা বললাম, আপনি যে বলছেন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ব্রেক ডাউনটা যাতে জেলা প্রশাসকরা প্রকৃত উপকারভোগীদের ডেকে এনে আলোচনা করে, যে এটা হবে। জেলা প্রশাসক তার মনোনীত লোকদের ডেকে গণশুনানি করলে তো হবে না।
অনেক সময় প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।