ফ্যাসিবাদমুক্ত মিডিয়া চাই: উপদেষ্টা নাহিদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০২ এএম
ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে ফ্যাসিস্টমুক্ত গণমাধ্যম চাই উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কোনো গণমাধ্যম বা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা যেমন ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই, ঠিক তেমনই ফ্যাসিবাদমুক্ত মিডিয়াও চাই।
বুধবার বিকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গা থেকে সংবাদমাধ্যমকে নতুনভাবে দেখতে চাই। এর জন্য সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সংস্কারকাজ কীভাবে হতে পারে, তা গণমাধ্যমের কাছ থেকেই শুনতে চাই।
তিনি বলেন, মিডিয়ায় অনেক কালাকানুন আছে, পর্যায়ক্রমে আমরা সেই কালাকানুনগুলো বাতিলের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে গণমাধ্যম, ১৫ বছরে তা দেখা যায়নি। তবে যারা অনুগত থেকে কাজ করেছেন, তারা পুরো গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করেন না।
তিনি আরও বলেন, কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না। এর জন্য কমিটি করা হয়েছে। কোনো সাংবাদিক যদি মনে করেন, তাকে হয়রানি করা হচ্ছে, তাকে সহায়তা করা হবে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। দায়িত্ববোধ থেকেই সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ সাংবাদিকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্ররা দেশের ভালো চান এবং দেশকে পুনর্গঠন করতে চান। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা তারা কামনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্ররাজনীতির সংস্কার দাবি প্রবলভাবে উঠেছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই সেটি অ্যাড্রেস করছে না। জাতীয় নির্বাচনের কথা রাজনৈতিক দলগুলো যতবার বলেছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা তারা একবারের জন্যও বলেনি। ছাত্রদের কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা ফারজানা, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা।