Logo
Logo
×

পোশাকশিল্প

পোশাক খাতে নিরাপত্তায় বাংলাদেশের উল্লে­খযোগ্য অগ্রগতি: আইএলও

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম

পোশাক খাতে নিরাপত্তায় বাংলাদেশের উল্লে­খযোগ্য অগ্রগতি: আইএলও

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) ব্যবস্থার উন্নতিতে উল্লে­খযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ওএসএইচ ব্যবস্থার উন্নতি বাড়ানো এবং সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সামনে রয়েছে বাংলাদেশ। 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

প্রতিবেদনটি ‘ওএসএইচ’ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ। যৌথভাবে যেটির অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আইএলও। আইএলওর ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা’। 

বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়ানিন বলেন, এটা বোধগম্য যে শিল্প দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়ের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ওএসএইচ কাঠামো শ্রমিকদের প্রতিরোধ ও শারীরিক নিরাপত্তার ওপর মূল দৃষ্টি রাখে। নতুন অনুসন্ধানগুলোয় দেখা যাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা এবং হয়রানি মোকাবিলায় বাংলাদেশ তার ওএসএইচ কাঠামোর সুযোগ-সুবিধা নিতে পারে এবং বাড়াতে পারে। 

জাতিসংঘের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ওএসএইচ ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শ্রম আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি ২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ গঠন করেছে।

শ্রম আইনের ১০৯ ধারা কর্মক্ষেত্রে নারীকে সুরক্ষা দেয়। এ আইনে বলা হয়েছে, সম্মতি ছাড়া কোনো নারীকে রাতে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে কোনো নারীর শালীনতা বা সম্মানে আঘাত করা হয়- এমন কোনো আচরণ থেকে বাধা দেয় এই আইনের ৩৩২ ধারা।

এদিকে শ্রম আইনে পরিবর্তনের ফলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগ সরকারি-বেসরকারি সব কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন হয়রানি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনাবলিতে সব সংস্থাকে যৌন হয়রানি সম্পর্কিত অভিযোগ পেতে তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য অভিযোগ কমিটি গঠন করতে বলা হয়; যা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন-
নিয়ম না মানলে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা
‘শ্রম ইস্যুতে নয়, নিষেধাজ্ঞা এলে তা রাজনৈতিক স্বার্থে’
ক্রেতার নতুন শর্তে উদ্বিগ্ন পোশাক মালিকরা
চলতি বছর বিশ্বে বেকার বাড়বে: আইএলও

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম