পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করেছি: টিপু মুনশি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম
গার্মেন্টস মালিকদের কষ্ট হলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে শ্রমিকদের সুবিধার্থে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর আগ পর্যন্ত ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কথা জানান তিনি।
বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই শ্রমিকবান্ধব। তার নির্দেশে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মালিকরা আরও কম মজুরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনুরোধে মালিকদের কষ্ট হলেও তারা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। শ্রমিকদের কষ্ট লাঘবে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এর আগ পর্যন্ত শ্রমিকরা ফ্যামিলি কার্ড পাবে। এ কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকরা চাল, ডাল, তেল ও চিনি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবে। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাতে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। সেগুলো সমাধানে কাজ করছে। রপ্তানি বাড়াতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কোনোভাবেই মালিকদের ১০ হাজার ৪০০ টাকা বেশি ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের নির্দেশ দেন, যা বর্তমান কাঠামোর চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু নামধারী শ্রমিক নেতা মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিছু অসাধু লোক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মালিকরা ১২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না, এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে। এটা মালিকদের দেওয়া কঠিন হবে। অনেক ছোট কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচএন্ডএমের আঞ্চলিক প্রধান (বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া) জিয়াউর রহমান বলেন, এইচএন্ডএম সব সময় স্থানীয় আইন-কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করে। তাই বাংলাদেশ নতুন বেতন কাঠামোতে চূড়ান্তভাবে ন্যূনতম যে মজুরি নির্ধারণ করবে, সে অনুযায়ী আমরা মূল্য পরিশোধের চেষ্টা করব।
এবারের ডেনিম এক্সপোতে বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ভিয়েতনাম, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডসহ ১২টি দেশের ৮০টির বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবিত ও উৎপাদিত বস্ত্র, পোশাক, সুতা, যন্ত্র, ফিনিশিং সরঞ্জাম ও উপকরণ প্রদর্শন করছে। এক্সপোতে একটি বিশেষ ‘ট্রেন্ড জোন’ রয়েছে। আগামী দিনের ডেনিম পণ্য, বৈচিত্র্যময় নকশা ও উদ্ভাবন সম্পর্কে জানাতে ট্রেন্ড জোনে দেশীয় বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডেনিম পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক্সপোর শেষ দিন।