যমুনা ফিউচার পার্কে হুরাইন উইক সমাপ্ত: ফেব্রিক প্রদর্শনীতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে হুরাইন উইক-২০২৩ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের ২০২৪ সালের শরৎ ও শীতকালীন পোশাকের বিশ্বমানের ফেব্রিক প্রদর্শন করা হয়।
শপিংমলের লেভেল-৭, এন্ট্রি-৩ এ তিন দিনব্যাপী চলা প্রদর্শনীতে প্রত্যাশার চেয়েও ক্রেতাদের বেশি সাড়া পাওয়া গেছে। আয়োজনের শেষ দিন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেব্রিক প্রদর্শনী সম্পর্কে হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আবদুল হাকিম যুগান্তরকে বলেন, হুরাইনের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের শরৎ ও শীতকালীন পোশাক তৈরির জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া গেছে। তিন দিনের জন্য হুরাইন উইকে অংশ নিতে দেশি-বিদেশি ১৬১৭টি প্রতিষ্ঠানের বায়াররা রেজিস্ট্রেশন করেন। এতে ৩৫০টিরও বেশি ফেব্রিক প্রদর্শন করা হয়। আমরা স্পট অর্ডারের জন্য প্রদর্শনী করি না। এরপরও বরাবরের মতো কাপড়ের গুণগতমান ভালো থাকায় সরাসরি স্পট অর্ডারও পাওয়া গেছে। অনেক বায়ার স্যাম্পল দেখে গেছেন, তারাও তাদের চাহিদা মতো অর্ডার করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
আমেরিকার প্রতিষ্ঠান জেসিপেনির হেড অব ফেব্রিক সোর্স তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হুরাইন মানেই বিশ্বমানের কাপড়ের সমারোহ। এখানে তাদের তৈরি বিভিন্ন ফেব্রিক দেখেছি। গুণগতমান ও বিভিন্ন ভেরাইটি দেখেছি। স্যাম্পল নিয়েছি। সব মিলে ভালো লেগেছে।
ভারতের সিম্পল অ্যাপ্রোচ প্রতিষ্ঠান থেকে আসেন প্রতিষ্ঠানের অ্যাসোসিয়েট ফেব্রিক সোর্স সুমেশ। তিনি জানান, মানের সঙ্গে আপস না করে হুরাইন তাদের বিভিন্ন ফেব্রিক তৈরি করে। এ কারণে বিশ্বে এ ফেব্রিক নাম করছে। পাশাপাশি গবেষণা করে প্রতিষ্ঠানটি কাপড়ে নতুনত্ব আনছে। এ কারণে হুরাইন বায়ারদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে। তাদের সবগুলো কালেকশন পছন্দ হয়েছে। কাপড়ের মান দেখে আমি সন্তুষ্ট।
হুরাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, অনেক বায়িং হাউজ ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার এনে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এ ক্ষেত্রে তারা যে ফেব্রিক বিদেশ থেকে আমদানি করছে তার চেয়ে ভালো মানের ফেব্রিক হুরাইন বানাতে সক্ষম। প্রদর্শনীতে বিষয়টি তাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ফেব্রিকে কী কী নতুনত্ব আনা হয়েছে, কী রঙ তুলে ধরা হয়েছে, কাপড়ে কী নতুন উপকরণ আনা হয়েছে- এগুলো প্রদর্শনীতে বায়াররা দেখছেন। হুরাইন এইচটিএফ ফেব্রিকের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। হুরাইনের নিজস্ব উদ্ভাবিত ফেব্রিক দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে হুরাইন কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতা আগামীতেও বজায় রাখতে উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্ব দরবারে ফেব্রিক নিয়ে হুরাইন বাংলাদেশকে তুলে ধরছে।