
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৩ এএম
ফেঁসে যেতে পারেন আর্জেন্টাইন ২ বিশ্বকাপজয়ী

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ পিএম

আরও পড়ুন
সান্দ্রো তোনালি এই এক বছর আগেও একই কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন প্রায় এক মৌসুমের জন্য। সেই তোনালি বছর না ঘুরতে আবারও জড়িয়ে পড়েছেন জুয়া-কাণ্ডে। সে কারণে আবারও তদন্তের মুখে পড়ে গেছেন তিনি।
তার সঙ্গে তদন্ত হচ্ছে নিকোলো ফাজিওলির বিরুদ্ধেও। ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএ এবং এজিআই জানিয়েছে, তারা দুজন ছাড়াও আরও এক ডজন বর্তমান ও সাবেক সিরি আ খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে এই তদন্তে।
তোনালি আর ফাজিওলির বিরুদ্ধে এবার অভিযোগটা স্রেফ নিজেদের খেলা নয়। বেআইনি জুয়ার প্ল্যাটফর্মে তো তারা অংশ নিয়েছেনই এবং অন্যদেরও সেখানে নিয়ে গেছেন অর্থের বিনিময়ে, অভিযোগটা এমনই।
রোমার লিয়ান্দ্রো পারেদেস এবং ২০২২/২৩ মৌসুমে জুভেন্টাসে ফাজিওলির সতীর্থ ছিলেন আনহেল ডি মারিয়াও এই মামলায় সন্দেহভাজন। এছাড়া জুভেন্টাসের বর্তমান খেলোয়াড় ওয়েস্টন ম্যাককেনি ও মাত্তিয়া পেরিন, এবং ইতালি জাতীয় দলের রাউল বেল্লানোভা ও সামুয়েল রিচ্চিও রয়েছেন তদন্তের আওতায়।
তবে ফুটবলাররা সরাসরি গ্রেফতার হননি। তাদের বিরুদ্ধে এখনো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বড় ধরনের শাস্তির সম্ভাবনা নেই। তবে ছোট ধরনের শাস্তি, যেমন জরিমানা হতে পারে। অন্যদিকে, ইতালির ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) তাদের বিরুদ্ধে আলাদা ডিসিপ্লিনারি ব্যবস্থা নিতে পারে।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তোনালি ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞা পান নিজের পুরোনো ক্লাব এসি মিলানের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ইউরো ২০২৪-এ ইতালির হয়ে খেলতে পারেননি। ফাজিওলি নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি জুয়া ও বাজির আসক্তিতে ভুগছেন। তার বিরুদ্ধে তিন মিলিয়ন ইউরোর বেশি ঋণের অভিযোগও রয়েছে।
তদন্ত এখনও চলমান, এবং সামনে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।