এক দফা পিছিয়ে ৯ মার্চ শুরু হচ্ছে পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। ক্লাবগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচদিন পেছানো হয়েছে।
শনিবার ক্লাবগুলোর সঙ্গে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালের ক্লাব নোফেল স্পোর্টিং না খেলায় তাদের শাস্তি হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে এবার ১১ দলের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। বাফুফে সভাপতির ক্লাব নোফেল দলবদলে অংশ নেয়নি। ১০ দলের মধ্যে আলোচনায় পিডব্লুডি ছাড়া বাকি নয় ক্লাবের কর্মকর্তারা ছিলেন। ফরাশগঞ্জের কর্মকর্তা বাবুরাম বলেন, ‘আমাদের কিছু দাবি ছিল বাফুফের কাছে। তার কিছু পূরণ হয়েছে। প্রস্তুতির জন্য আরও কিছু সময় চেয়েছিলাম। তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লাবগুলোকে বল দেওয়ার পাশাপাশি স্পন্সরশিপ থেকে ক্লাবগুলোর আর্থিক সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে।’
এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও অবনমন হবে দুই ক্লাবের। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শীর্ষ দুই দল প্রিমিয়ারে খেলবে। নোফেল অংশ না নেওয়ায় দলের সংখ্যা কমলেও অবনমনে হেরফের হবে না। দলবদলে এন্ট্রি নিয়ে অংশগ্রহণ না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এর আগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রিমিয়ার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে বড় অঙ্কের জরিমানা দিয়েছিল। অথচ, গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ারে উঠে না খেলায় বাফুফে এক বছর পর মাত্র পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে।
বাফুফে সভাপতির ক্লাব শেষ মুহূর্তে দলবদলে অংশ না নেওয়ায় কী শাস্তি হয় এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে কৌতূহল রয়েছে। এখনো বাফুফে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী তিন মৌসুম নোফেল লাইসেন্সিং করতে পারবে না। ফলে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলার সুযোগ থাকছে না তাদের।
এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বাইলজ অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি কমিটি আর্থিক শাস্তি নির্ধারণের এখতিয়ার রাখে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের খেলা গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম, কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠ ও ফর্টিস এফসি’র মাঠ এই তিন ভেন্যুতে হবে।