Logo
Logo
×

পরবাস

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ছিলেন ইলন মাস্ক

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ছিলেন ইলন মাস্ক

টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে একটি স্টার্টআপ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটিতে স্বল্প সময়ের জন্য আইনবহির্ভূতভাবে অবস্থান করছিলেন তিনি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পালো-আলটো শহরে এসেছিলেন মাস্ক। তবে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি না হয়ে নিজের সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ টু’ গড়ে তোলায় মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। চার বছর পর প্রতিষ্ঠানটি মাস্ক প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন।

অভিবাসী আইনে পারদর্শী দুই বিশেষজ্ঞের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধভাবে কাজের অনুমতি পেতে পারতেন মাস্ক।

এ অভিযোগের বিষয়ে মাস্কের বক্তব্য জানতে তার মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠান— স্পেস এক্স, টেসলা, এক্স (সাবেক টুইটার) ও দ্য বোরিং কোম্পানিতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়। এমনকি তার আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরোর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ওই প্রতিবেদন তৈরিতে মাস্কের দুই সহকর্মীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারা বলেছেন, ১৯৯৭ সাল বা তার আশপাশের কোনো একসময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পেয়েছিলেন এই ধনকুবের।

আসন্ন ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। ওদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার অন্যতম অস্ত্র অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য। অভিবাসীদের ‘দখলদার ও অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয় দফায় ওভাল অফিসের চেয়ারে বসতে পারলে ব্যাপকহারে অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি, তার মতে সেটা হবে মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম ‘ডিপোর্টেশন’। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম