মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। 

‘ফুড অ্যান্ড ড্রিংকস মালয়েশিয়া বাই সিয়াল’ নামের এ মেলায় খাদ্যপণ্য ও পানীয় ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী খাবারও পরিবেশন করবে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, কানাডা, ব্রিটিশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, সিঙ্গাপুর, ইউক্রেন, রাশিয়া, বেলারুশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি ও বাংলাদেশসহ অংশ নেওয়া বিশ্বের ২২টি দেশ। 

মালয়েশিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাইসেব, ম্যাট্রেড, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পিকেএনএস, মালয়েশিয়া বিজনেস গ্রুপ, সাবাহ এমআইপিই, মালয়েশিয়া কোকো বোর্ড ও মালয়েশিয়া স্পাইস বোর্ড এর সহায়তায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি প্রাণ ফুডস লিমিটেড।

মঙ্গলবার থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাইটেক কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ৩ দিনের এ মেলা। মেলায় ২২টি দেশের অংশগ্রহণে ৩৩০টি বুথে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মেলার উদ্বোধন করেন প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস ডেপুটি মিনিস্টার দাতুক চ্যান ফুং হিন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ এলাকায় এবং প্রদর্শনী এলাকায় বাংলাদেশের বাংলাদেশি বুথ পরিদর্শন করেন- প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস ডেপুটি মিনিস্টার দাতুক চ্যান ফুং হিন এবং সাবাহ রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক ফুং জিন ঝে। 

এ সময় মিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। 

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ ও মেলা পরিদর্শন করবেন বলে হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে।

মেলার প্রথম দিন মিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা দেন। 

বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশেষ উদ্যোগের কারণে মেলায় নির্ধারিত বুথের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে অন্য ৭টি দেশের (কানাডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) পাশাপাশি বাংলাদেশি বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

‘বাংলাদেশ বুথ’ বিপুলসংখ্যক স্থানীয় ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতা, শিল্প উদ্যোক্তা, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং সাধারণ দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। মেলায় ‘বাংলাদেশের বুথ ও আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ’ ঘুরে দেখার জন্য মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।