Logo
Logo
×

পরবাস

এস্টেস পার্ক

ফুলের বাগানে ঘেরা যে ট্রেইল মুগ্ধতা ছড়ায়

Icon

সাউদিয়া ইসলাম জেরীন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম

ফুলের বাগানে ঘেরা যে ট্রেইল মুগ্ধতা ছড়ায়

বাংলাদেশের জামালপুরের একটি ছোট্ট শহরে আমার জন্ম। ঢাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে বেড়ে ওঠা। আমি পেশায় একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ (যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের জন্য কাজ করছি); কিন্তু মনের দিক থেকে আমি একজন শেফ, ভালোবাসি গান করতে, ঘুরে বেড়াতে আর লিখতে।

আমি যেদিন এস্টেস পার্কে পৌঁছলাম, সেদিন ওখানে তুষারপাত হচ্ছিল। ভয়ানক সুন্দর বলে যদি কিছু থেকে থাকে, আমি বলব এটাই সেটা। 

এস্টেস পার্ক বিগ থম্পসন নদীর তীরে অবস্থিত। ছোট্ট শহর, এস্টেস পার্ক যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর ল্যারিমার কাউন্টির একটি সংবিধিবদ্ধ শহর। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি অনুযায়ী, শহরের জনসংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯০৪। এস্টেস পার্ক, ফোর্ট কলিন্স, সিও মেট্রোপলিটন পরিসংখ্যান অঞ্চল এবং ফ্রন্ট রেঞ্জ আরবান করিডোরের একটি অংশ। 

সবকিছু নিয়ে লিখে ফেলা সম্ভব হবে না একদিনে, তবে মেকার রোডের লিলি লেক আর সেন্ট মালোর চ্যাপল অন দ্য রকের কথা না বললেই নয়।

লিলি লেক কলোরাডোর এস্টেস পার্কের কাছে অবস্থিত একটি ০.৮ মাইল লম্বা ট্রেইল; যা সুন্দর বন্য ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা। হাঁটাহাঁটি, ঘুরে বেড়ানো, এমনকি খ্রিস্টানদের বিয়ের ভেন্যু হিসেবেও ভালো। ট্রেইলটিতে বেশ কয়েকটি বিনোদনের ব্যবস্থা আছে এবং মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ব্যবহৃত হয়। 

অন্যদিকে কলোরাডোর অ্যালেনস্পার্কের কাছে ক্যাম্প সেন্ট মালোর চ্যাপেল অন দ্য রকটি অনায়াসে সবার দৃষ্টি কাড়ে। ২০১১ সালের নভেম্বরে চ্যাপেল অন দ্য রক একটি বিধ্বংসী আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছিল, যা পশ্চাৎপসরণ কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস করে দিয়েছিল। যেটি তার দরজা বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঐতিহাসিক বন্যার সময় চ্যাপেল অন দ্য রক বেঁচে গিয়েছিল, যদিও আশপাশের বেশিরভাগ ভূখণ্ড ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
 
সেন্ট মালোর চ্যাপেল অন দ্য রক হচ্ছে- ব্যাকগ্রাউন্ডে মাউন্ট মেকারের সঙ্গে সেন্ট মালোর চ্যাপেল অন দ্য রক। পার্কিং লট থেকে দেখা যায় চ্যাপেল অন দ্য রক। তুষারপাতের জন্য বন্ধ থাকায় আমি ভেতরে যেতে পারিনি। তুষার দিয়ে ঢাকা পুরোনো চ্যাপলটি দেখে মনটা কেমন হু হু করে উঠল। বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে হারিয়ে গেলাম রূপকথার অন্য এক জগতে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম