বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিত বাদ দেওয়ার সুপারিশ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পরিবর্তন করে ৬টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে নম্বর পুনর্বণ্টন, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা বিষয় সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমানে বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে, সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য বাংলায় ২০০ নম্বরের, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ১০০ এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। আর কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলায় ১০০ নম্বরের, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ১০০ এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ৬টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে নম্বর পুনর্বণ্টনের সুপারিশ করেছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলা রচনায় ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনায় ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশনে ও প্রিসিস বিষয়ে ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলিতে ১০০ নম্বর এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ ও ভূগোল বিষয়ে ১০০ নম্বর করার সুপারিশ করেছে।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয় ছাড়াও সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং আইন ইত্যাদি গুচ্ছ থেকে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কোনো গুচ্ছ থেকে দুটির বেশি বিষয় বা পেপার নির্বাচন করা যাবে না।
প্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং মনস্তাত্ত্বিক গুণাবলি মূল্যায়ন করার জন্য পরীক্ষার ধরনগুলো আপডেট করা উচিত। এ জন্য অতিরিক্ত একটি ইনটিগ্রিটি পরীক্ষা পরিচালনা করা যেতে পারে, যা হবে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের প্রাথমিক স্ক্রিনিং। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হলো।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করে কমিশন। কারণ, প্রার্থীদের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কোনো প্রার্থী পরপর তিনবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে তিনি আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।