
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করবে না হাঙ্গেরি, যা বলল আইসিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তবে হাঙ্গেরি সফর করা নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য সদস্য দেশটির কঠোর সমালোচনা করেছে আইসিসি।
তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইসিসির মুখপাত্র ফাদি এল আবদাল্লাহ বলেন, ‘আইসিসির আইনি সিদ্ধান্তের সঠিকতা নিয়ে কোনো সদস্য রাষ্ট্র একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না’।
তিনি আরও বলেন, আইসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক।
এল আবদাল্লাহর ভাষায়, ‘আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কিত যে কোনো বিরোধ আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সমাধান করা হবে’।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান দীর্ঘদিন ধরে ইইউ-বিরোধী অবস্থান, বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দমননীতির কারণে সমালোচিত হয়ে আসছেন।
এমনকি তিনি গত বছরের নভেম্বরে আইসিসির জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান করেন এবং নেতানিয়াহুকে তার দেশে আমন্ত্রণও জানান।
তার এই বিষয়গুলো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
এদিকে, অরবানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বুধবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী চার দিনের সফরে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
হাঙ্গেরি আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একটি এবং তাত্ত্বিকভাবে তার দায়িত্ব হলো আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা।
তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা এই রায়কে সম্মান জানাবে না।
এদিকে নেতানিয়াহু বুধবার সন্ধ্যায় বুদাপেস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
যদিও তার সফরের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি সম্পর্কে খুব কম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।তবে জানা গেছে, তারা একটি হলোকাস্ট স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন।
অন্যদিকে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এটি নেতানিয়াহুর দ্বিতীয় বিদেশ সফর।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র— কেউই আইসিসির সদস্য নয়।
নেতানিয়াহুর এই সফর এবং হাঙ্গেরির অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সূত্র: আল-জাজিরা
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
আরও পড়ুন