
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০২ পিএম
যে শর্ত পূরণ হলে ‘কৃষ্ণসাগর চুক্তি’তে স্বাক্ষর করবে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন একটি চুক্তি করতে আগ্রহী। তবে শর্ত একটাই—যুক্তরাষ্ট্রকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এটি মেনে চলার নির্দেশ দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এমনটাই জানিয়েছেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন নির্দেশই রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া চুক্তি সম্ভব নয়
এদিন চ্যানেল ওয়ান-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার গ্যারান্টি দরকার। কিয়েভের সঙ্গে আগের চুক্তির তিক্ত অভিজ্ঞতার পর এই নিশ্চয়তা কেবল তখনই কার্যকর হবে, যখন ওয়াশিংটন জেলেনস্কি ও তার টিমকে স্পষ্ট নির্দেশ দেবে’।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই ২০২৩ সালে ভেঙে যাওয়া আগের চুক্তির জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।
কৃষ্ণসাগর চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি। যদিও ল্যাভরভের মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, রাশিয়া চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করুক।
গত মাসে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর ছিল। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা আশঙ্কা করছে, ট্রাম্প যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো চুক্তি করে বসেন, তাহলে তা ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আগের কৃষ্ণসাগর চুক্তি ও নতুন আলোচনা
২০২৩ সালে মস্কো আগের কৃষ্ণসাগর বা ব্ল্যাক সি চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়, কারণ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের খাদ্য ও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
এদিকে সোমবার সৌদি আরবে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে কৃষ্ণসাগর চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনা বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তবে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে না।
এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম সাসপিলনে জানায়, রিয়াদে ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
এদিকে ট্রাম্প ও পুতিনের সাম্প্রতিক ফোনালাপে ট্রাম্প ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা পুতিন প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তিনি ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা না চালানোর বিষয়ে একটি সীমিত সমঝোতায় সম্মত হন।
এ নিয়ে ইউক্রেন জানিয়েছে, এই সমঝোতা লিখিতভাবে হলে তারা এতে যোগ দিতে রাজি। সূত্র: এনডিটিভি ও টিএএসএস
ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন যুদ্ধ
আরও পড়ুন