সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ১৩ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুরস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০২ পিএম
সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে কুর্দি নেতৃত্বাধীন পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ১৩ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুরস্ক। কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুর্কি নিরাপত্তাবাহিনীর কিছুদিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় সংঘর্ষের ঘটনা, গত রোববারেও তুরস্ক একইভাবে ১৩ কুর্দি যোদ্ধার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল।
তুরস্ক পিকেকে এবং ওয়াইপিজিকে একে অপরের সমতুল্য মনে করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু ওয়াইপিজিকে সিরিয়ায় আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রধান সহযোগী হিসেবে মনে করে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে এবং তারা আশা করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলে এই নীতি পরিবর্তন হবে।
তুরস্কের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে গত মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর থেকে।
তুরস্ক বলছে, সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ), যা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এবং ওয়াইপিজিকে অন্তর্ভুক্ত করে, তাদের অস্ত্র সমর্পণ না করলে তুরস্ক তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে। বাইডেন প্রশাসন বর্তমানে সিরিয়ায় ২,০০০ সেনা মোতায়েন করেছে। এসব সেনারা এসডিএফ ও ওয়াইপিজির সাথে কাজ করছে, যা তুরস্কের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।
সিরিয়ার পরিস্থিতি এবং কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ নিয়ে আসছে, বিশেষত যখন এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল এবং তুরস্কের নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।
ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে পরস্পরবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা।
গত মাসের শেষ দিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী খুনিরা অস্ত্র জমা দেবে, অথবা তাদের অস্ত্রসহ সিরিয়ার মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।