
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
গোয়ায় ঘুরে এসে যা বললেন পিয়া

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

আরও পড়ুন
চলতি বছরের প্রেম দিবসে সুখবর দিয়েছিলেন টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। জানিয়েছিলেন জুন মাসেই সন্তানের আবির্ভাবের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সন্তানকে স্বাগত জানানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুজনই। তবে থেমে নেই কাজ। দুজনই যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। রোজনামচার ব্যস্ততার মধ্যে অনাবিল আনন্দ খুঁজতে সম্প্রতি পরম-পিয়া ঘুরে এলেন গোয়া থেকে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে পিয়া বলেন, গোয়া ঘোরার গোটা অভিজ্ঞতাই ছিল খুব আরামদায়ক। ইচ্ছে করেই গোয়াকে বেছে নিয়েছিলাম আমরা। এই সময় হইহই করে ঘুরে বেড়াতে পারব না আমরা। তাছাড়া আমরা দুজনই সমুদ্র খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমি সমুদ্রপ্রেমী। সমুদ্রের ধারে আরামে ও শান্তিতে সুসময় কাটানোই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ব্যস্ততার মধ্যে একটা সুন্দর বিরতি পেলাম গোয়া ভ্রমণ করে।
সন্ধ্যা নামার পর গোয়ার সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের স্মৃতি এখনো যেন উপভোগ করছেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ সমুদ্রের ধারে বসে থেকেছেন পরমপত্নী। সৈকতের ওপর গড়ে ওঠা ছোট ছোট রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করেছেন। সমুদ্রের ঢেউয়ের চলমান শব্দ উপভোগ করেছেন।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, আসলে প্রত্যেকের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়। অনেকেই এই সময় কোথাও যেতে নিরাপদ বোধ করেন না। আমরা এমনিই বেড়াতে যেতে ভালোবাসি। চিকিৎসকই আমাদের বলেছিলেন— কোথাও যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। এর পরের পর্যায়ে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। বিমানে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকের এই পরামর্শ আনন্দের সঙ্গে লুফে নিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য, খুব শিগগির মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রতের বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’। এ ছাড়া তার হাতে রয়েছে বেশ কিছু কাজ। বাড়িতে মন দিতে পারছেন পরম? পিয়ার স্পষ্ট উত্তর— প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও অনেকটা সময় ও মনোযোগ দিচ্ছে পরম। আমি ওকে বলেছি— এই সময় খেয়াল রাখতে হলে মনের খেয়াল রাখতে হবে। আমার মনের মধ্যে কী চলছে, সেটি নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তারপর থেকে ও নিয়মিত বা রোজ আমার মন ও অনুভূতির খেয়ালও রাখছে।
যদিও পিয়া জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেভাবে তার মেজাজের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সমাজকর্মী তথা মনোবিদের কথায়, আমার চারপাশে যারা থাকেন তারা আরও ভালো বলতে পারবেন। আসলে কোনো সিনেমা দেখলে কিংবা বই পড়ার পর আমার আবেগ বেরিয়ে পড়ে। এমনিতেই সিনেমা দেখলে সহজে চোখে পানি আসে। সেটাই আরও বেশি করে এখন হচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে এই সময় একটা বিষয়ে বদল এসেছে। মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আর কোনো আগ্রহ নেই এখন। বরং নোনতা খাবারই বেশি ভালো লাগছে। সন্তানের জন্য এখন অপেক্ষা জারি রয়েছে। তবে বাবা-মা হিসেবে তারা কেমন হবেন, তা এখনো বুঝতে পারছেন না।
পিয়া বলেন, আমাদের পোষ্য সন্তান রয়েছে। ওদের জন্য আমাদের মধ্যে আগে থেকেই পিতৃসত্তা ও মাতৃসত্তা রয়েছে। সন্তান আসার পর অভিজ্ঞতা ক্রমশ আবিষ্কার করব আমরা দুজনই। সেই অপেক্ষাতেই আছি।