
প্রিন্ট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪০ এএম
২৮-শেই বিধবা, লড়াই চালিয়ে আজও শ্বশুর-শাশুড়ির প্রিয় অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

আরও পড়ুন
ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ময়ূরী দেশমুখ। অনস্ক্রিন যতটা সফল, অফস্ক্রিনে তার জীবন ততটাই বেদনাময়। যার সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর স্বপ্ন নিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন, সেই সম্পর্ক টেকে মাত্র ৪ বছর। মাত্র ২৮ বছর বয়সে বিধবা হন অভিনেত্রী। স্বামীকে হারিয়ে ময়ূরীর জীবন বদলে যায়। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবেননি। বরং অভিনয়ে মন দিয়েছেন। ‘ইমলি’ ধারাবাহিকে তার দুর্দান্ত অভিনয় আজও দর্শকদের মনে অমলিন। এই জনপ্রিয় মারাঠি অভিনেত্রী সবসময় প্রাণোচ্ছ্বল। কিন্তু তার হাসিমুখের আড়ালে যে কতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে আছে তা বুঝতে দেন না কাউকেই।
ময়ূরীর বাবা প্রভাকর দেশমুখ ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, বদলির চাকরির কারণে ছেলেবেলা কেটেছে নানা শহরে। নতুন নতুন জায়গায় পড়াশোনা করার সুবাদে তার মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও অসাধারণ। সেই সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক। এই সময়েই আশুতোষ ভাকরের সঙ্গে পরিচয় হয় ময়ূরীর। আশুতোষ মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। ময়ূরী নিজেও মারাঠি সিনেমায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তবে টিভি সিরিয়াল ‘ইমলি’ তাকে ঘরে ঘরে পরিচিতি এনে দেয়।
২০১৬ সালে ময়ূরী ও আশুতোষ বিয়ে করেন। সুখেই কাটছিল জীবন। কিন্তু চার বছরের মাথায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় সম্পর্কে ইতি পড়ে। ২০২০ সালে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আশুতোষ। গোটা পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
ময়ূরীর জন্য এই ধাক্কা ছিল অকল্পনীয়। এক মুহূর্তে যেন সবকিছু বদলে যায়, ভেঙে যায় সাজানো সংসার। শ্বশুরবাড়ি থেকে শুরু করে তার নিজের পরিবার- সবার মাথায় যেন বাজ পড়ে। সেই মুহূর্তে তার মনে হয়েছিল, যেন পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। স্বামীকে হারানোর পর একাই জীবন কাটাচ্ছেন ময়ূরী। অনেকেই ভেবেছিলেন, ময়ূরী হয়তো অভিনয় ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তিনি কঠিন বাস্তব মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিনয়ই হয়ে ওঠে তার আত্মবিশ্বাস, তার অন্তরের শক্তি।