Logo
Logo
×

বিনোদন

ওমর সানি-মৌসুমীর বিয়ের নেপথ্যে ছিলেন যিনি

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

ওমর সানি-মৌসুমীর বিয়ের নেপথ্যে ছিলেন যিনি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী ও অভিনেতা ওমর সানি তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩০ বছর পাড়ি দিয়েছেন।  আনুষ্ঠিকভাবে ২ আগস্ট ১৯৯৫ সালে ঘটা করে বিয়ে করেন এই তারকা যুগল। তবে তারও কয়েকমাস আগে ৪ মার্চ পারিবারিকভাবে একান্ত ছোট পরিসরে বিয়ে হয় তাদের। সেই ঘটনা কোনো সিনেমার কাহিনির চেয়েও কম নয়। 

সেই সময় মহাখালী ডিওএইচএসের ৩১ নম্বর রোডে থাকতেন ওমর সানি আর মৌসুমী থাকতেন ৩২ নম্বর রোডে। তখন তুমুল গুঞ্জন উঠেছিল ওমর সানি ও মৌসুমীর প্রেম-বিয়ে নিয়ে। কিন্তু তখনো তারা বিয়ে করেননি। তবে দুই পরিবারের সদস্যরা এ গুঞ্জন সম্পর্কে জানতেন। তখন বিয়ে নিয়ে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এলেন মৌসুমীর নানি ও ওমর সানির মা। সে ঘটনাও ছিল বেশ মজার।

মৌসুমীর শুটিংয়ে মাঝেমধ্যে তার নানি আসতেন। এভাবেই ওমর সানির মায়ের সঙ্গে মৌসুমীর নানির পরিচয়। এ পরিচয় থেকেই ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই দুই নায়ক–নায়িকার মা ও নানির মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হতো। তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ছিল। তারা ছেলে ও নাতনির প্রেমের গুঞ্জন শুনে সম্পর্ক জোড়া দিতে এগিয়ে আসেন। তত দিনে ওমর সানির মা মৌসুমীকে ভীষণ পছন্দ করে ফেলেছেন। অন্যদিকে মৌসুমীর কাছে ওমর সানির প্রশংসা করতেন তার নানি। এভাবে দুই তারকার মধ্যে প্রেমটা আরও বেড়ে যায়।

তবে মৌসুমীর মা সিনেমার কারো সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না।  তিনিও একসময় রাজি হন। কারণ, মৌসুমীর নানিই ছিলেন দুই পরিবারের মূল মধ্যস্থতাকারী। তাকে পছন্দ করতেন সবাই। মৌসুমীর নানি তার মেয়েকে, অর্থাৎ মৌসুমীর মাকে বিয়েতে রাজি করান। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন সানিদের বাসায় মৌসুমীকে নিয়ে হাজির তার নানি। মৌসুমীর নানি ওমর সানীর মাকে সরাসরি বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি কাজি ডাকেন, আজই ওদের বিয়ে দেব।’ কাজি ডেকে সেদিনই বিয়ে হলো। দিনটা ছিল ১৯৯৫ সালে ৪ মার্চ।

তবে মৌসুমী ও ওমর সানির বিয়ের খবর গোপনই রয়ে গেল। অনেক দিন কেউ জানতেন না। 

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে সানি বলেছিলেন, বিয়ের পর দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নিয়মিত শুটিং চালিয়ে যাব, তাই কাউকে জানাইনি।

পরে অবশ্য ঘটা করে ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট তারা বিয়ে করেন। সেই দিনটিও তারা উদযাপন করেন।

গতকাল ছিল সেই ৪ মার্চ। সেই দিনটি ওমর সানি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কীভাবে কেটে গেল ৩০ বছর টের পেলাম না, আমার ভালো লাগাটা একই জায়গায় আছে। দেরি হলো, কারণ আমার হোম মিনিস্টার আমেরিকার টাইমে আমাকে উইশ করলেন, তার জন্য ওয়েট করলাম। হ্যালো ফারদিন, ফাইজা। এই দম্পতির দুই সন্তান ফারদিন এহসান ও ফাইজা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম