Logo
Logo
×

বিনোদন

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সোনাক্ষীর অভিযোগ, কিন্তু কেন?

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সোনাক্ষীর অভিযোগ, কিন্তু কেন?

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। ইন্ডাস্ট্রির এক সময়ের প্রভাবশালী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা তিনি। বাবার পথ ধরে অভিনয়কেই ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছেন। বাবা অবশ্য এখন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। গত বছর বিয়ে করেছেন সোনাক্ষী। সাত বছর প্রেমের পর অভিনেতা জাহির ইকবালকে গত বছর জুন মাসে বিয়ে করেন। শুরুতে এই বিয়েতে সোনাক্ষীর পরিবারের কারও মত ছিল না। 

কারণ, এটা ছিল তার পছন্দের পাত্র। জাহির মুসলিম, আর সোনাক্ষী হিন্দু। বিয়েতে পরিবারের বাধা ছিল মূলত ধর্ম। শেষ পর্যন্ত বাবা মা ও এক ভাই মেনে নিলেও অভিনেত্রীর আরেক ভাই এখনো সেই বিয়ে মেনে নেননি বলেই ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ। 

এবার সেই ভাইদের নিয়েই সোনাক্ষী বোমা ফাটালেন। তার অভিযোগ, দুই ভাই লব ও কুশ তাকে হিংসা করত, এমনকি গায়েও হাত তুলত! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেছেন, একমাত্র মেয়ে হিসাবে পরিবারে তিনি ছিলেন সবার প্রিয়। বাবা-মা তো বটেই, আত্মীয়রা তাকে খুব আদর করত। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই দুই ভাই তাকে হিংসা করত। গোপনে তাকে মারধরও করত! 

মূলত বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষি জড়িয়েছেন একাধিক বিতর্কে। ২০২৪ সালে জাহির ইকবালকে বিয়ের পর থেকে তাকে নিয়ে কটাক্ষ কম হয়নি। তার বিয়েতে দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন না। এবার সেসব নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। ‘আমি ছিলাম ঘরের সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে প্রিয় মেয়ে। তাই দাদারা আমাকে খুব হিংসা করত।’ 

যদিও বর্তমানে জাহিরকে নিয়ে ভাইদের সঙ্গে চলমান বিতর্কে মুখ খোলেননি তিনি। তবে সোনাক্ষি চুপ থাকলেও, বাবা শত্রুঘ্ন ঠিকই মুখ খুলেছেন। সোনাক্ষীর বিয়ে মেনে নিলেও তিনি মূলত ছেলেদের সমর্থনেই কথা বলেছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওদের (দুই ছেলে) দোষ দিই না। ওদের প্রতিক্রিয়াটা আসলে সংস্কৃতিগত মতপার্থক্যের কারণে। আমার বয়স যদি ওদের মতো হত, আমিও হয়তো এ রকমই আচরণ করতাম। আমার বয়স ও অভিজ্ঞতার কারণে আসলে, আমার আচরণ ভিন্ন’। 

এদিকে কাজের সূত্রে সোনাক্ষীকে গত বছর সঞ্জয় লীলা বানসালির ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি’তে দেখা গিয়েছিল। আপাতত নতুন কোনো কাজে এখনো হাত দেননি। স্বামীকে নিয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরেই সময় উপভোগ করছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম