-67a058ef2a91f.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী উরফি জাভেদ মাঝে মাঝেই আলোচনায় থাকেন। এবারও আলোচনায় এলেন তিনি একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে। সেই ভিডিওতে উদ্যোক্তা অশ্নীর গ্রোভার দাবি করেন— সালমান নাকি তার সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। সেই ভিডিও দেখেই অভিনেত্রী অশ্নীরকে একহাত নিলেন। আর নেটিজেনরাও উরফিকে সমর্থন করে কথা বললেন।
এর আগে বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের ‘বিগ বস ১৮’-এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা অশ্নীর গ্রোভার । সেখানেই অশ্নীরকে একহাত নিয়েছিলেন সালমান। চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনেছিলেন উদ্যোক্তা। মাথা নিচু করে সম্মতি জানিয়েছিলেন ভাইজানের কথায়। কিন্তু ‘বিগ বস ১৮’ শেষ হতে না হতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন অশ্নীর গ্রোভার।
এক ভিডিওতে রীতিমতো সালমান খানের নাম না করে সুর চড়িয়েছেন তিনি। সেই ভিডিও চোখে পড়ে মডেল উরফি জাভেদের। আর তাতেই উদ্যোক্তাকে খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী।
অশ্নীর গ্রোভারের দাবি—সালমান খান নাকি তার সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ভাইজান তার কাছ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। কিন্তু অশ্নীর সঙ্গে কথা বলার পর ভাইজান সাড়ে ৪ কোটি টাকাতেই রাজি হয়ে যান।
এর পর বিগ বস ১৮-এর মঞ্চে অশ্নীরকে একহাত নিয়েছিলেন ভাইজান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন— অশ্নীরের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, তার নামই কোনো দিন শোনেননি তিনি। সেই সময়ে মুখ দিয়ে আওয়াজ বেরোয়নি অশ্নীর গ্রোভারের।
দীর্ঘ দিন পর অশ্নীর গ্রোভার আবার নতুন এক ভিডিওতে বলেছেন— অকারণে আমার সঙ্গে ঝামেলা করে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। আমি তো ভদ্রভাবেই গিয়েছিলাম। ওরাই আমাকে ডেকেছিল। নাটক করার জন্য বলে দিল— ‘আপনার সঙ্গে তো দেখাই হয়নি কখনো। আপনার নামও জানি না।’ তিনি বলেন, আরে, নাম না জানলে আমাকে ডাকলে কেন?
এই প্রসঙ্গে উরফি জাভেদ বলেন, এসব কথা সালমানের সামনে বলার সাহস নেই অশ্নীর গ্রোভারের। তিনি বলেন, এ কথাগুলো শুধু সালমানের সামনে দাঁড়িয়ে বলে দেখাক। এই লোকটা হবে সালমানের প্রতিযোগী?
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে তোলপাড়। অনেক নেটিজেন উরফি জাভেদকে সমর্থন করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— এই কথাগুলো সেই দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে পারলেন না কেন? সেই দিন তো মুখ দিয়ে শব্দ বেরোচ্ছিল না। একেই বলে দ্বিচারিতা।