ফাইল ছবি
কিছুদিন আগে মহাকুম্ভে মমতা কুলকার্নি মহামন্ডলেশ্বর উপাধি পাওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর তার জেরেই কেড়ে নেওয়া হল মমতা কুলকার্নির মহামন্ডলেশ্বর উপাধি। নব্বইয়ের বোল্ড নায়িকাদের তালিকায় প্রথমসারির নাম মমতা কুলকার্নি। পর্দায় সাহসী পোশাক থেকে সাহসী দৃশ্যে লাস্যময়ী মমতা ছিলেন নজরকাড়া।
এক সাক্ষাৎকারে মমতা দাবি করেছেন, অতীতে তাকে যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল, তার কারণ তিনি সচেতন ছিলেন না। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ওই ফটোশুটের প্রস্তাব তার কাছে আসে এবং সে সময় তিনি এর মধ্যে আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে বলে বুঝতেই পারেননি।
মমতা বলেন, ‘সেই সময় আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমাকে ডেমি মুরের একটি ছবি দেখানো হয়েছিল, আমার কিছু অশালীন বলে মনে হয়নি।’ সেই বয়সেও মমতাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল, জানিয়েছেন নিজেই। তার কথায়, ‘সেই সময় আমি বলেছিলাম, ‘আমি এখনো অক্ষতযোনি’। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেননি। কারণ সকলেই তো ভাবেন বলিউডে আসার জন্য যেকোনো পথ বেছে নিতে পারেন যে কেউ।’ তবে নিজেকে ছাড়পত্র দিলেও মমতা অন্যদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তার দাবি, ‘হয়তো অর্থের জন্য অনেকেই এমন ভুল পথ বেছে নেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ আমার বাবা প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।’ এরপরই তিনি দাবি করেন, তিনি যৌনতা সম্পর্কে অবগতই ছিলেন না। তার কথায়, ‘আমি সে সময় যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। নগ্নতার রূপ সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। তাই বুঝতেই পারিনি, এটা অশালীন।’
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার সন্তোষীর ছবি ‘ঘাতক’ সেখানেই ‘কোয়ি যায়ে লে কে আয়ে’ গানে নেচেছিলেন মমতা। সেই প্রসঙ্গে তার দাবি, ‘মাধুরী বা অন্য সকল নৃত্যশিল্পীই যখন নাচেন তখন তারা গানের কথা শুনতেই পান না। নিজের ভিতরের ছন্দে নেচে চলেন। আমিও সেই সময় গানের কথায় মনোনিবেশ করিনি।’