সাইফকাণ্ডে কারিনার সমালোচনা নিয়ে যা বললেন টুইঙ্কেল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কোনো এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারী ডাকাতি করতে ঢুকে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানে বাড়িতে। এসময় ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে ওই দুর্বৃত্তের একের পর এক ছুরিকাঘাতে বিদ্ধ হতে হয় সাইফকে।
এই ঘটনার পরে গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। পাঁচদিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
পুলিশকে দেওয়া বক্তব্যে অভিনেতা জানিয়েছেন, সে রাতে তিনি এবং তার স্ত্রী কারিনা কাপুর খান ছিলেন শোয়ার ঘরে। হঠাৎই ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ পান। কিন্তু সমাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে নানা কথা চলছে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে।
কেননা, আগেই জানা গিয়েছিল, ডাকাতির আগের রাতে নিজের বান্ধবীদের সঙ্গে হাউজ পার্টি করছিলেন কারিনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কারিনা, কারিশমা, সোনম কাপুর ও রিয়া কাপুর। পার্টি হয়েছিল সোনমের বোন রিয়ার বাড়িতে। সে রাতে পার্টির বেশ কিছু ছবিও নিজের সমাজিক মাধ্যমে দেন কারিনা-কারিশমা। বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই মধ্যরাতেই ঘটে এ অঘটন।
অনেকেরই ধারণা, সে রাতে মদ্যপ ছিলেন কারিনা। সেই কারণে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ফলে তার বড় ছেলে ও আট বছরের তৈমুর নিয়ে যায় বাবাকে। কেউ কেউ আবার বলছেন, ঘটনার সময় নাকি বাড়িতেই ছিলেন না কারিনা। যার ফলে এসব ঘটনা নিয়ে নেটদুনিয়াতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
কারিনাকে নিয়ে চলমান এসব সমালোচনা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে টুইঙ্কেল লেখেন, ‘দিন কয়েক আগে সাইফ আলি খানের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর অনেকেই এখন আরও বেশি করে সচেতন হয়েছেন। ঘরে ঘরে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই সজাগ থাকছেন। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি লিখেনে, তবে সাইফ যখন হাসপাতালে, তখন হাস্যকর কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে হামলার সময় তার স্ত্রী নাকি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিলেন যে স্বামী সাহায্য করার পরিস্থিতিতে ছিলেন না। যেহেতু কোনো প্রমাণ নেই, তাই এই বোকা এসব তত্ত্বগুলোকে থামানো যায়নি। আসলে স্ত্রীর ওপর দোষ চাপিয়ে লোকে আনন্দ পায়।
তার মতে, স্বামীদের যে কোনো বিষয়ে দোষ দেওয়া হয় স্ত্রীকে। একমাত্র দোষারূপ করার সময় স্ত্রীদের ১ নম্বরে রাখা হয় বলেই মনে করেন টুইঙ্কেল।