সাইফের ওপর হামলাকে স্রেফ গালগল্প মনে করছেন তসলিমা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
![সাইফের ওপর হামলাকে স্রেফ গালগল্প মনে করছেন তসলিমা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/01/24/541-67934f6a81b3f.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান ১৫ জানুয়ারি দুষ্কৃতকারীর হাতে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য আনা হয়। গত মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে বাংলার পতৌদি পরিবারের নবাব সাইফ যা জানান, তার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যে অনেকটা অমিল দেখা যায়। ওই বিষয়টি সামনে এনে সমালোচনা করেছেন তসলিমা নাসরিন। ভারতে অবস্থানরত এই বাংলাদেশি লেখিকা সাইফ হামলাকাণ্ডকে স্রেফ গালগল্প মনে করছেন।
সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর দম্পতির
চার বছরের শিশুসন্তান জেহইকে অপহরণের করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের
বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করেই গ্রেফতার হওয়া শরিফুল ইসলাম প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিলেন
সাইফ-কারিনার কনিষ্ঠ পুত্র জেহর ঘরের দিকে। অপহরণের মূল নিশানায় ছিল চার বছরের শিশু
জেহই। মুম্বাই পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে— জেহকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা
দাবি করার পরিকল্পনা ছিল শরিফুলের।
সেই পরিকল্পনামাফিক শরিফুল চুপিসারে
জেহর ঘরের দিকে এগিয়েছিলেন। প্রথমে বিষয়টি নজরে এসেছিল জেহর ন্যানির। তিনি জেহকে বাঁচাতে
উদ্যত হন। যদিও তাকে শরিফুল দেখতে পেয়ে যান তখনই। সরাসরি ন্যানি প্রশ্ন করেছিলেন— কী
চান। উত্তরে এক কোটি টাকার কথা বলেছিলেন শরিফুল। এই ফাঁকে সেই ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে
দৌড়ে পালিয়েছিল জেহ। সেই কান্না শুনে ছুটে এসেছিলেন সাইফ আলি খান। এসময় সাইফকে ছয়বার
ছুরিকাঘাত করেন তিনি। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান অভিনেতা।
এমন বয়ানকে স্রেফ গল্প মনে হচ্ছে তাসলিমার।
২২ জানুয়ারি তিনি ফেসবুকে সেটি বিস্তারিত লিখেছেন—
‘সাইফ আলী খানের কোনও
গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায়
দেখা গেছে , তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিলাসবহুল
ভবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য সিকিউরিটি গার্ড নেই,
বিশ্বাস করা যায় না। এক গার্ড ঘুমোলে আরেক গার্ড তো জেগে থাকবে। সবচেয়ে বেশি
অবিশ্বাস্য, সাইফকে ছুরিকাঘাত করার পর নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল, হেঁটে হেঁটে
১১ তলার সিঁড়ি পার হলো, আঙিনা পার হলো, গেট
পার হলো, না দারোয়ান, না সাইফের বাড়ির কোনও
কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকালো না। সাইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হলো সাত বছর বয়সী
তৈমুরকে। তাও আবার অটোরিক্সায়। কারিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে
নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়। সাইফের মেরুদন্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি
গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপচার হয়েছে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা, সেরিব্রোস্পাইনাল
ফ্লুইড লিক করছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চারদিন পর সাইফকে দেখে মনে হয়নি তার আদৌ কিছু
হয়েছে। ঘটনাটা যখন পাবলিক করা হয়েছে, তখন প্রাইভেসি রক্ষা করার নামে মুখে কুলুপ আঁটা
তো ঠিক নয়। খুব অদ্ভুত লাগছে যে সাইফ আলী খান
জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে
গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই
জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু। কেউ কেউ বলছে, বাইরের কেউ নয়, ঘরের কেউ তাঁকে আঘাত করেছে! এসব
তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা বা পুলিশের চেয়ে বেশি জানেন সাইফ। ঠিক কি না?’
লেখিকার ওই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
এক ব্যক্তি লেখেন, ‘ঘটনাটি
এতোটা ঘোলাটে নয় যতটা ঘোলাটে করা হচ্ছে। খুব সম্ভব সাইফ আলির কাছের কেউ তাকে ছুরিকাহত
করেছে। খুব কাছের কেউ।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘আজকাল
তো এনার সিনেমা নেই, কেউ ডাকেও না। অন্তত এসবের চক্করে একটু হলেও খবরে আসার সুযোগ হল।’
ওই পোস্টটি ইতোমধ্যে ১৮৩ বার শেয়ার হয়েছে। প্রায় ছয় হাজার লাইকও পড়েছে।