‘আমার প্রতি তার দয়া-মায়া সম্মান ভালোবাসা থাকা জরুরি’
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
বাগদান পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরও সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যায় দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার। এই বোঝাপড়ার সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন তিনি। তবে দ্বিতীয়বার আর সেই ভুল করতে চান না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
বলিউড হোক কিংবা তার ঘরের কাছের তামিল ফিল্ম জগৎ— রাশমিকা মান্দানার ছবির নায়ক সব সময়েই একটু অন্যরকম। ‘পুষ্পা’-এ তার স্বামী পুষ্পা রাজ লাল চন্দনের স্মাগলার। ‘অ্যানিমেল’ ছবিতে রাশমিকার নায়ক রণবীর কাপুরের চরিত্রে জান্তব বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
কিন্তু বাস্তব জীবনে যাকে নায়কের মর্যাদা দেবেন অভিনেত্রী, তার মধ্যে কী কী গুণ থাকা দরকার?— এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশমিকা মান্দানা বলেন, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তাকে আমার সঙ্গে থাকতে হবে। তার সঙ্গে থাকলে যেন আমি নিরাপদ বোধ করি।
সম্প্রতি দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে রাশমিকার সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা। যদিও প্রকাশ্যে দুজনের কেউ-ই সম্পর্কের কথা শিকার করেননি। বিজয়ের সঙ্গে এর আগে বলিউডের অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডের নাম জড়িয়েছিল। তবে সেই কাহিনি এখন অতীত। দক্ষিণের কমবয়সি অনুরাগীদের মনে ঢেউ তোলা বিজয় এখন রাশমিকার সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন। ফটোসাংবাদিকদের লেন্সে বহুবার ধরাও পড়েছে দুজনের একান্তে সময় কাটানোর ছবি। এর মধ্যেই জীবন সঙ্গীর থেকে তার চাহিদা কী, তা নিয়ে মন খুলেছেন রাশমিক মান্দানা।
অবশ্য রাশমিকার চাহিদার তালিকা এখানেই শেষ নয়। সঙ্গীর কাছ থেকে তিনি কী কী আশা করেন তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। নিজের চাহিদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি যে-ই হোন, তার মনে দয়া-মায়া থাকতে হবে। আর থাকতে হবে আমার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা। সম্পর্কে যত্ন থাকাটা আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি।
রাশমিকা বলেন, যে কোনো সম্পর্কে ভালোবাসার পাশাপাশি, যত্ন, সম্মান ও সঙ্গীর প্রতি নিবেদিত হওয়ার যে আবেগ তা আমার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আসে। আমি চাই আমার সঙ্গীর মধ্যেও তা থাকুক। সহানুভূতিশীল মন না থাকলে তার সঙ্গে পথচলা মুশকিল বলে জানান এ অভিনেত্রী।
সম্পর্কে নিরাপত্তা বোধ চাওয়া, সব সময় সঙ্গীকে কাছে চাওয়া কি স্বাভাবিক? সহানুভূতিশীল মন না থাকলে তার সঙ্গে পথচলা মুশকিল। রাশমিকার চাহিদা আর তার সারার্থ জানতে চাওয়া হয়েছিল মনোবিদ সোনাল খাঙ্গারোটের কাছে। তিনি বলেছেন, সঙ্গীর সঙ্গে আমাদের জুড়ে থাকার যে ধরন, তা কেমন হবে, সেটি নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের আত্মবিশ্বাসের ওপর।
মনোবিদের কথায়, যিনি আত্মবিশ্বাসী, তিনি সঙ্গীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। তিনি যেমন সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় নিরাপদ বোধ করবেন, তেমনই বিনাদ্বিধায় সঙ্গীকে স্বাধীন যাপনও করতে দিতে পারবেন। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে, সঙ্গীকে নিয়ে উদ্বেগ থাকবে সর্বক্ষণ। হয়তো সামান্য মেসেজের জবাব না দেওয়া নিয়েও তিনি ভুল বুঝতে পারেন। তার মনে হতে পারে, সঙ্গী তার যত্ন নেন না।
মনোবিদ আরও বলেছেন, এতে উল্টো দিকের মানুষটার মনে হতেই পারে, তার স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টিকে সেভাবে দেখলে সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে। মনোবিদের পরামর্শ— এ ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রয়োজন বুঝে কাজ করতে হবে। কারও যেন মনে না হয়, তার প্রয়োজনটিকে অবহেলা করা হচ্ছে। দরকার হলে কাপল থেরাপিও করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।