ফাইল ছবি
দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাস-বন্ধুত্ব আর সম্মানই শেষ কথা। তাহসান ও মিথিলা দীর্ঘ ১১ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।২০১৭ সালে যৌথভাবে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। তার ঠিক দুবছর পরে ২০১৯ সালে কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে গাঁটছড়া বাধেন মিথিলা।
সবাইকে চমকে দিয়ে শনিবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন মিথিলার সাবেক স্বামী। সন্ধ্যায় নতুন বউকে বাহুডোরে আগলে বিয়ের সুখবর দেন তাহসান। শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন তিনি, তার ফেসবুক পোস্টের লাইক সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৪ লাখ পার করেছে। রোববার বিয়ের একগুচ্ছ অদেখা ছবি পোস্ট করলেন তাহসানের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজা আহমেদ। নেটদুনিয়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তারা। নবদম্পতির ছবি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুক। থেমে নেই আলোচনাও।
মিথিলা-তাহসান ২০১৬ সালের পরে আর একসঙ্গে কাজ করেননি। তবে গত বছরের জুনে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজে একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। তখন ফের তাদের সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময়ে তাহসানের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন মিথিলা।
তিনি বলেছিলেন, ‘এত বছর পর কাজ করলাম, লোকে আবার অনেক কথা বলতে শুরু করল। লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভালো আছি। আমাদের যখন বিচ্ছেদ হয় আয়রার এক বছর বয়স। ওকে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরেছি। বাড়ির সাহায্য পেয়েছি। তাহসানের কাছে আয়রাকে রেখে বাইরে গিয়েছি। কর্মসূত্রে যখন বাইরে যাচ্ছি, তখনো আমি আয়রাকে সঙ্গে নিয়ে গেলে কাজের জায়গা থেকে ওরা আপত্তি করেনি।’
বিচ্ছেদের পরে সম্পর্ক রাখা স্বাভাবিক? এই প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেছিলেন, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবচেয়ে আগে। এটাই উচিত। আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান ১৪ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ শুরু। দু’জন দুজনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দু’জনের কাছে সবচেয়ে আগে।’