Logo
Logo
×

বিনোদন

মুক্তি পেলে দেবের ‘খাদান’, প্রত্যাশা পূরণ করবে তো?

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম

মুক্তি পেলে দেবের ‘খাদান’, প্রত্যাশা পূরণ করবে তো?

অতীতে হিন্দি ও দক্ষিণী ছবির জন্য কাক ভোরে ছবির প্রদর্শন হয়েছে। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ কিংবা ‘পুষ্পা ২’ তার প্রমাণ। কিন্তু মধ্যরাতে কোনো বাংলা ছবির ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো’ এই প্রথম। সৌজন্যে দেব অভিনীত ছবি ‘খাদান’। শুক্রবার বড়দিনের আবহে চারটি বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে— ‘খাদান’, ‘সন্তান’, ‘চালচিত্র’ ও ‘পাঁচ নম্বর স্বপ্নময় লেন’। 

কিন্তু এই রাজ্যে ‘খাদান’-এর প্রথম শোর আয়োজন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ২টায়। বুধবার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতেই সেই শো হাউসফুল। 

তবে কলকাতা নয়, এই নজির গড়তে সাহায্য করেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের একটি প্রেক্ষাগৃহ। ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে ‘খাদান’-এর সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, ওই প্রেক্ষাগৃহে ১৫৯ আসন রয়েছে। বুধবার ছবির অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতেই, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। ওই প্রেক্ষাগৃহ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ।

উত্তরবঙ্গেও এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। উত্তরবঙ্গের পরিবেশক শশাঙ্ক শেখর ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন,  এর আগে আমরা ইংরেজি ও হিন্দি ছবির জন্য খুব সকালে শো দিয়েছি। কিন্তু মধ্যরাতে কোনো বাংলা ছবির শো হাউসফুল হচ্ছে, বাংলা ছবির জন্য খুবই ইতিবাচক ঘটনা।

ইম্পার তরফে শ্যামল দত্তও এ ঘটনাকে বাংলা ছবির দুনিয়ায় নতুন অধ্যায় হিসাবে দেখতে চাইছেন। তিনি বলেন, হিন্দি বা দক্ষিণী ছবির ক্ষেত্রে খুব ভোরে শো আমরা দেখেছি। এ ঘটনা বাংলায় ছবিমুক্তির ক্ষেত্রে নতুন কোনো ট্রেন্ড তৈরি করতেই পারে।

বুধবার দেব আক্ষেপ করেছিলেন, অন্য ভাষার ছবির জন্য তার ছবি ‘খাদান’ রাজ্যে যথেষ্ট হল পাচ্ছে না। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মনের জোর ফিরে পেলেন দেব। রাজ্যে প্রায় ১৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘খাদান’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়ে দেব বলেন, দুই বছর আগেও ছবিটা তৈরির আগে ভাবছিলাম কী হবে। কিন্তু আজও কোথাও না কোথাও ১০ মিনিটে শো হাউসফুল হয়েছে। রায়গঞ্জে বাংলার প্রথম মিডনাইট শো— সেটিও হাউসফুল। আপনাদের ধন্যবাদ।

রাত ২টায় ‘খাদান’-এর শো হাউসফুল হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেতা ও পরিচালক দেবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি প্রমুখ। রাজ্যের হলমালিকদের একাংশ এ ঘটনা কেন্দ্র করে আশার আলো দেখছেন। বক্স অফিসে ছবিটি কী কী নজির স্থাপন করে, সেদিকেই নজর থাকছে সবার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম