'সন্তান'-এর ট্রেলার দেখে তাদের চোখে জল এসেছে: রাজ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের শেষ মাস। মুক্তির অপেক্ষায় ‘সন্তান’। রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় আরও একবার অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। টালিউডের চর্চিত দম্পতির মুখোমুখি আনন্দবাজার অনলাইন। আর পরিচালক ও অভিনেত্রীর সম্প্রতি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক অভিনন্দন দত্ত। এটি যুগান্তর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
শীতের মৌসুমে মুক্তি পাচ্ছে স্বামী-স্ত্রী জুটির নতুন ছবি ‘সন্তান’। বিয়ের পর পরিবারকে কেন্দ্র করে জীবনটাই বদলে গেছে রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। নতুন ছবির পাশাপাশি একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ থেকে শুরু করে পরিবার বিষয়ে অকপট উত্তর দম্পতির।
প্রশ্ন: চলচ্চিত্র উৎসবে আপনি ছিলেন না। দার্জিলিঙে শুটিং করছিলেন। উৎসবকে কতটা মিস করলেন?
রাজ: উৎসবে যেতে পারব না বলে গৌতমদাকে (পরিচালক গৌতম ঘোষ) মেসেজ করেছিলাম। উপস্থিত থাকতে পারিনি বলে খারাপ লেগেছে। মিস করেছি। কিন্তু শুটিং পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
প্রশ্ন: আরও একবার রাজ-শুভশ্রী জুটির ছবি। ছবি মুক্তির আগে পরিচালক-অভিনেত্রী হিসেবে আপনারা কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
শুভশ্রী: সত্যি বলতে— এই ছবিটা নিয়ে আমি খুবই অন্য রকম প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। বাংলার বাইরে থেকে যেমন মেসেজ পেয়েছি, তেমনই আমাদের আবাসনে অবাঙালিরাও ছবিটার কথা জানেন। বুঝতে পারছি, গল্পের নির্যাস ইতোমধ্যে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ভালো লাগছে। ইয়ালিনির জন্মদিনে ইসকনের সন্ন্যাসীরা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। প্রধান প্রভু অবাঙালি। তিনিও কিন্তু ‘সন্তান’-এর ট্রেলার দেখে ছবিটা দেখতে চেয়েছেন।
রাজ: আমাকে অনেকেই বলেছেন যে, ট্রেলার দেখে তাদের চোখে জল এসেছে। দার্জিলিঙে শুটিংয়ের সময়েও অনেকেই দেখলাম ছবিটা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বললেন। আর ছবিতে ‘মাই হাজব্যান্ড ইজ নট ফর সেল’— এই সংলাপটা দেখলাম প্রত্যেকেকেই ধাক্কা দিয়েছে।
প্রশ্ন: রাজ এই সংলাপ থেকেই জানতে চাই— স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ককে কীভাবে দেখেন?
রাজ: দেখুন, সন্তানকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখে তার মা। কিন্তু লক্ষ করলে বোঝা যাবে, সন্তানের সঙ্গে বাবার কোনো মতানৈক্য হলে, তখন কিন্তু দেখা যায় বাবাকে সমর্থন করেন মা। এ বিষয়টি আমার ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
প্রশ্ন: আপনার জীবনে এ রকম কোনো ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন?
রাজ: অনেক উদাহরণ দিতে পারি। যেমন— একসময় আমার বাবা খুব ধূমপান করতেন। নিষেধ করা সত্ত্বেও লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করতেন। আমি সিগারেটের প্যাকেট দেখলেই লুকিয়ে রাখতাম। বাবা তাতে একটু রেগে যেতেন। মা কিন্তু তখন বাবার পক্ষে নিতেন। আমি বোঝালেও মা বলতেন, প্রয়োজনে বাবাকে বোঝাও। কিন্তু তুমি বাবার সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলতে পারো না। এই হচ্ছে বাবা-মায়ের রসায়ন।
শুভশ্রী: এটা আমিও দেখেছি। ছেলেমেয়েরা যেন বাবাকে সম্মান করেন, সেটি কিন্তু মা খেয়াল রাখেন।
রাজ: মা তো আমাকে এ রকমও বলেছিলেন যে, প্রয়োজনে বাবাকে নিয়ে তিনি আমাদের হালিশহরের বাড়িতে চলে যেতে পারেন। কিন্তু বাবাকে কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না। কারণ আমার মায়ের সহজ বক্তব্য— এই মানুষটার জার্নি আমি জানি না। এই ছবিটা পরিচালনা করতে গিয়ে ভীষণভাবে আমার পরিবারের বিভিন্ন ঘটনা মনে পড়েছে। আর মনে হয়েছে, আমি যেন এ সন্তানটা (ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনীত চরিত্র) কোনো দিন না হই!
প্রশ্ন: এই যে একটা সর্বজনীন বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা করেছেন, বাংলা ছবিতে কি ইদানীং সেটি একটু কমে গেছে?
রাজ: সব ছবিতেই কিছু না কিছু বার্তা থাকে।
শুভশ্রী: একজন দর্শক হিসেবে ছবিকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেই দেখি। তাই সেখানে যে কোনো সামাজিক বার্তা থাকতেই হবে, সেটি বিশ্বাস করি না। এটা নির্ভর করে পরিচালকের ওপরে, যে তিনি কীভাবে ছবিটা পৌঁছে দিতে চাইছেন।
রাজ: শুধুই বার্তা পাওয়ার জন্য তো আমি কোনো বই পড়ে নিতে পারি। সিনেমায়, বিনোদনের মোড়কে কোনো সামাজিক বার্তা থাকতেও পারে, আবার না-ও পারে।
প্রশ্ন: রাজ, আপনি সবসময় বলেন— শিশু ও বয়স্কদের জন্য আপনার আলাদা করে একটা দায়িত্ববোধ কাজ করে।
রাজ: অবশ্যই, একটা ঘটনা বলি— ৮-৯ মাস আগে ব্যারাকপুরে আমার বিধানসভা কেন্দ্রে একজন বয়স্ক নারীকে ঘুরতে দেখি। কোথায় বাড়ি, কিছুই বলতে পারছিলেন না। আমার টিমকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সব খুঁজে বার করতে বলি। তার পর ভদ্রমহিলার বাড়ি আমরা খুঁজে পাই। চার-পাঁচ দিন পর তার বাড়ি পাওয়া গেল। সেখানে গিয়ে বাড়িতে ছেলে জানান যে, মা এমনি হারিয়ে গেছেন। তার পর তাকে আমরা ফুটেজ দেখাই যে, কীভাবে তারা মাকে গাড়ি থেকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
শুভশ্রী: এ রকম আরও কত ঘটনা যে চারপাশে ঘটে, ভেবেই অবাক লাগে।
প্রশ্ন: মিঠুন বলেছেন— এ রকম একটা ছবি নাকি পরিচালনা করা কঠিন। তাকে পরিচালনা করা কতটা কঠিন?
রাজ: সাধারণত মিঠুনদাকে প্রস্তুতি নিতে হয় না। কিন্তু কিছু দৃশ্যের জন্য তাকেও দেখেছি ফ্লোরে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে। আর মিঠুনদার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত থাকতাম। একদিনও দেরি করাইনি। অসাধারণ অভিনয় করেছেন মিঠুনদা।
শুভশ্রী: দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার শুটিং না থাকলেও মিঠুনদা কীভাবে শট দিচ্ছেন, সেটা দেখতে আমি নিয়মিত ফ্লোরে যেতাম। এত বড় একজন অভিনেতা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে অন্যকে ‘কিউ’ দিচ্ছেন! এটাও কিন্তু একটা শিক্ষণীয় বিষয়।
প্রশ্ন: আর ঋত্বিক?
রাজ: ইরফান খান আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা। কিন্তু তার সঙ্গে তো আর কোনো দিন কাজ করতে পারব না। কিন্তু আমি ঋত্বিককে পেয়েছি। এই চরিত্রটা অনেকেই করতে রাজি হতো না। কিন্তু ঋত্বিক সেই সাহস দেখিয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি পর পর বেশ কয়েকটা ছবি করলেন। একে অপরের সঙ্গে কাজের সুবিধা-অসুবিধা কী কী?
শুভশ্রী: ব্যক্তিগত জীবনকে পাশে সরিয়ে রেখেই বলছি— আমি এখনও রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি করার জন্য মুখিয়ে থাকি। তাই আমার কাছে সবটাই ইতিবাচক। এটা পড়ে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস না-ও করতে পারেন। কিন্তু সত্যি বলছি— ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে রাজ কিন্তু পেশাদার জগতে আমাকে কোনো সুবিধা দেয় না।
রাজ: আমার শুটিং ফ্লোরে সবাই পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে আসেন। ফ্লোরে নিয়মানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে কাউকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা হয় না (হাসি)। অভিনেত্রী হিসেবে যে কোনো চরিত্রের জন্য বাড়িতে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেয় শুভ। তার জন্য আমি ওকে সম্মান করি। যতটা ভাবি, তার থেকেও ফ্লোরে গিয়ে আরও বেশি কিছু দিয়ে চলে যায় ও।
প্রশ্ন: ‘পেরেন্টিং’-এর প্রসঙ্গে জানতে চাই— ইউভান ও ইয়ালিনিকে নিয়ে মানুষের এই কৌতূহলকে কীভাবে দেখেন?
শুভশ্রী: ওরা তো তারকা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে। এটা ওরা অস্বীকার করতে পারবে না। আমার মনে হয়, বড় হওয়ার সঙ্গে ওরাও বুঝতে পারবে, যে মানুষগুলোর জন্য নামের পাশে ‘তারকা’ জুড়ে গেছে, তারাও কিন্তু খুবই সাধারণ। কারণ আমরা সাধারণভাবেই জীবনযাপন করতে পছন্দ করি।
রাজ: একটা মনের কথা বলি— ইউভান আমাদের প্রথম সন্তান। শুভ বারণ করলেও আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে ফেলতাম। কিন্তু ইয়ালিনির ক্ষেত্রে আমরা সেটি করিনি। অনেকেই ছবি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় আট মাস অপেক্ষা করেছিলাম। আমাদের সন্তানরা আমাদের কাছে সবচেয়ে সেরা আবেগ, সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। আমরা সামাজিকমাধ্যমে আমাদের জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলোই শেয়ার করে নিই। সেটা কারও ভালো লাগতে পারে, কারও খারাপও লাগতে পারে। এটা যদি সমসময়ের ট্রেন্ড হয়, তা হলে আমরাও তার অংশ। এবার যদি কারও খারাপ লাগে, তা হলে দেখবে না। কোনো সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: বাবা-মা হিসেবে নিজেদের ১০-এর মধ্যে কত নম্বর দেবেন?
রাজ: নিজেকে ১০-এ ১০ দেব। আর মা হিসেবে শুভকে ১০-এ ১০০ দেব।
(রাজের উত্তর শুনে হেসে ফেললেন শুভশ্রী)
প্রশ্ন: রাজ কি ঠিক বলছেন?
শুভশ্রী: একদম। আমি তো ওকেও ১০০ দিতে চাইব। আমাকে অনেকেই বলেছেন যে, আমি যেভাবে পরিবার এবং কাজ সামলাই, তাতে বহু নারীর কাছে আমি নাকি অনুপ্রেরণা। শুনে ভালো লাগে। আমি নাকি ‘পারফেক্ট’। কিন্তু আমি নিজে পারফেকশনে বিশ্বাসী নই।
প্রশ্ন: কেন?
শুভশ্রী: কারণ আমি প্রতি দিনই নতুন কিছু শিখতে চাই। নিজেকে পারফেক্ট মনে করলে শেখার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। আর শেখার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ, মানুষ শেষ! দুজন বাচ্চাই কিন্তু আমাদের দুরকমভাবে পেরেন্টিং শেখাচ্ছে।
প্রশ্ন: সন্তানদের কীভাবে বড় করে তুলতে চান?
শুভশ্রী: দেখুন, আমরা আমাদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা থেকে ওদের পথ দেখাব। কিন্তু আমরা কোনো দিন ওদের ‘বস’ হতে চাই না।
রাজ: আমরা কিন্তু ওদের ওপর কিছু চাপিয়ে না দিয়ে ওদের মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করি।
শুভশ্রী: আমরা ওদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই মনে করি। স্বতন্ত্র হিসেবেই বিচার করি।
প্রশ্ন: শুভশ্রী, আপনি রাজের প্রজেক্ট প্রযোজনা করেছেন। কখনো রাজকে পরিচালনা করার কথা ভেবেছেন?
শুভশ্রী: (হাসতে হাসতে) বাপরে! পরিচালকের স্ত্রী হিসেবে বুঝতে পেরেছি, পরিচালনা কতটা কঠিন! অ্যাকশন আর কাট বলাটাই কিন্তু একজন পরিচালকের কাজ নয়। কোনো দিন পরিচালনা করব, এটাই ভেবে উঠতে পারিনি (হাসি)।
প্রশ্ন: টালিউডে এখন তারকা দম্পতিদের ‘বিচ্ছেদ’ চর্চায়! রাজ-শুভশ্রী জুটি এখনো শক্ত। নেপথ্যে কোন রহস্য?
শুভশ্রী: বছরের শুরু থেকেই বলছি— দয়া করে বিচ্ছেদ ও বিবাহবিচ্ছেদকে একটু সাধারণভাবে দেখা হোক! এটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠারই কথা নেই। দুটো মানুষ একসময় একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। এখন চাইছেন না। এর মধ্যে তো কোনো ক্ষতি নেই!
রাজ: এটা তো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আর আমাদের সম্পর্কের ‘রাজ’টা রাজ থাকুক (হাসি)।
প্রশ্ন: কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে দু’পক্ষকে...
রাজ: (থামিয়ে দিয়ে) বিয়ে করলাম, ভালোবাসলাম— সেখানেই সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। এফর্ট দিতে হয়। সম্পর্ক মানেই প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। নিজের ভাবনা কিছু না ভেবেই অন্যের ওপর চাপিয়ে দিলে অন্যকে সম্মান না করলে তো দুজন একসঙ্গে থাকতেই পারবে না। সম্পর্ক যদি প্রায়োরিটি হয়, তা হলে সেটাকে সবার ঊর্ধ্বে গুরুত্ব দিতে হবে।
শুভশ্রী: প্রতি দিন সম্পর্কের ওপর কাজ করতে হবে। তা না হলে সেটা আর ‘সম্পর্ক’ থাকবে না।
রাজ: সম্পর্কে সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু সেটার সমাধান বার করতে হবে। আগে দেখতে হবে যে, আমি সত্যিই সমাধান চাইছি কিনা।
প্রশ্ন: দাম্পত্য জীবনও তো মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।
রাজ: অনেক কিছু। আমার কাছে এখন পরিবারই আগে। তার পর সব কিছু। পরিবার খুশি মানে, আমিও খুশি। আমি তো ভাবতেই পারি না, আমার কোনো দিন বিচ্ছেদ হবে! ভাবতেই পারি না যে ইউভান-ইয়ালিনির মা-বাবা কোনো দিন আলাদা থাকবে! তার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সব করতে রাজি।
শুভশ্রী: আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম।
প্রশ্ন: বছর শেষ হতে চলেছে। আপনাদের মতে, এই বছরের সবচেয়ে ভালো প্রাপ্তি এবং খারাপ ঘটনা কোনগুলো?
শুভশ্রী: খারাপ তো আরজি করকাণ্ড।
রাজ: হ্যাঁ, অবশ্যই।
শুভশ্রী: বাড়িতে দুটো মিষ্টি বাচ্চা, এত আধুনিকমনস্ক একজন স্বামী যার রয়েছে, তার তো বছরের সব দিনগুলোই ভালো।
রাজ: আমাদের দুজনের কাছের প্রতিটা দিন খুবই ইতিবাচকভাবে শুরু হয়। একসঙ্গে সব কিছুর সম্মুখীন হই। আমরা একটা নিজস্ব স্বপ্নের জগতে বাস করি। কাজ করতে হয় বলে বাড়ির বাইরে পা রাখি। প্রচুর টাকাপয়সা থাকলে হয়তো বাড়ি থেকেও বেরোতাম না। সারাক্ষণ বাচ্চাদের সঙ্গেই সময় কাটাতাম।
(শুভশ্রী হাসতে শুরু করলেন)
প্রশ্ন: বড়দিনে আরও অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ‘সন্তান’ কি জায়গা পাবে?
রাজ: প্রযোজকরা সেটা আমার থেকে ভালো বোঝেন। এবারে আমি শুধুই প্রযোজক, তাই চাপ অনেকটাই কম। বাংলায় এর আগেও একসঙ্গে একাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে। দর্শক ঠিক তাদের পছন্দমতো ছবি খুঁজে নেবেন।