আমি নাকি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি: কটাক্ষের জবাবে ইমন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
রাজারহাটের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের আবদার— বাংলা গান ছেড়ে হিন্দি গান গাওয়ার। নীতিবিরুদ্ধ এমন দাবির কড়া ভাষার প্রতিবাদ করেছিলেন এ গায়িকা। পরিপ্রেক্ষিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে ইমনকে নিয়ে সমালোচনা।
বেশিরভাগ নেটিজেন এ শিল্পীকে সমর্থন জানালেও নেটদুনিয়ার একাংশ আবার তার প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে চর্চা শুরু করেছেন। কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে গায়িকাকে। এ কটাক্ষ নিয়ে এবার ইমন চক্রবর্তী বললেন, আমি শুধু দুদিন ধরে সব দেখে গেছি, এবার কিছু কথা একটু বলি…।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ইমন চক্রবর্তী বলেন, জোরের সঙ্গে বলো যে, আমি বাংলা গান শুনব না— এটা অন্য কোনো জায়গা হলে না, চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিত। তিনি বলেন, বাংলায় থাকছ, বাংলায় রোজগার করছ, বাংলা গান শুনবে না বলছ।
গায়িকার প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে নেটিজেনদের সমালোচনার অন্ত নেই। একজন নেটিজেন বলেছেন, আপনি যখন হিন্দি গান করেন, তখন...? অন্য আরেকজন বলেছেন—হিন্দি গান করতে বলাটা দোষের কিছু নয়।
এহেন নানা কটুক্তি দিন দুয়েক সবটা চুপ করেই দেখেছেন গায়িকা। তবে রোববার ফেসবুক পোস্টে যাবতীয় কটাক্ষের জবাব দেন তিনি।
ইমন লিখেছেন—অনেকে বলছেন, আমি নাকি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আমি শুধু দুদিন ধরে সব দেখেই গেছি, এবার কিছু কথা একটু বলি…। তিনি বলেন, আমি মহান হওয়ার জন্য এ কথাটা বলিনি। আমি অতিসাধারণ একজন মানুষ, খেটে খাই। স্টেজে উঠে পারফর্ম করি বা রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়ে গান গাই বা স্টুডিওতে শুট করি— সবটা ঘিরেই গান, ওটাই পারি আমি। তাই ওটাই করি… ।
তিনি বলেন, সংগীত আমার কাছে সব, মানে সব। সব ধরনের গান গাওয়ার ইচ্ছে আমার বহুদিনের। আমি কোথাও কখনো কাউকে বলিনি যে, আমি শুধু বাংলা ভাষায় গান গাইব। কিন্তু আমাকে আমার এ জায়গা দিয়েছেন আপামর বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষেরা। আমি বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করা একটা মেয়ে। বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারা একটা মেয়ে।
এখানে আমার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন থাকেন। আমার গোটা পৃথিবী এখানে থাকেন। কোথাও কেউ কোনোভাবে আমার ভাষাকে ছোট করে কথা বললে আমি আবার ওই একই কথা বলব— একইভাবে প্রতিবাদ করব। তাতে কেউ যদি ভাবেন যে আমার স্বার্থ এতে চরিতার্থ হচ্ছে, তাহলে সেটা তাদের ভাবনা, আমার না। সব ভাষার সমান গুরুত্ব আছে অবশ্যই। আমার মাকে যেমন খারাপ বলার অধিকার কেউ দেয়নি। ঠিক সেভাবে আমার ভাষাকে ছোট করার অধিকারও কেউ কাউকে দেয়নি।