ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের জনবহুল শহর হলো পন্ডিচেরি। পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং তামিলনাড়ু রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত শহরেই ১৯৮৪ সালে জন্ম হয় কলকি কোয়েচলিনের।
জীবনের বেশিরভাগ সময় ভারতে কেটেছে কলকি কোয়েচলিনের। তিনি একজন ফরাসি নাগরিক। সেই হিসেবে ফরাসি অভিনেত্রীও। বেশ কিছু হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
২০০৯ সালে ভারতীয় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনায় ‘দেব ডি’ ছবিতে অভিনয় করেন কলকি। ২০১১ সালে পরিচালক অনুরাগের গলায় মালা দিয়ে জুটি বাঁধেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের সেই দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ হয়।
ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে তার সঙ্গে সেলতি তুলতে অনেকেই হুমকি খেয়ে পড়েছিলেন। অথচ অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে ডিভোর্সের দুই বছর পরে অভিনেত্রীকে কেউ বাসা ভাড়া দিতেও রাজি হননি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘আমি থাকার জায়গা পাচ্ছিলাম না। একা মহিলা হিসেবে কেউ আমাকে মুম্বাইয়ে বাড়ি ভাড়া দিতেও রাজি হয়নি। লোকে আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইছে, কিন্তু আমাকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না’।
অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে ডিভোর্সের এক দশক পর ইসরাইলের সঙ্গীতশিল্পী গাই হার্শবার্গের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কলকি। ২০২০ সালে মা হন অভিনেত্রী। হার্শবার্গ ও কালকির কন্যা স্যাফো। মা হওয়ার পর কাজ কমিয়ে দেন অভিনেত্রী। মেয়ে স্যাফোকে নিয়েই তার জীবন। বিয়েতে বিশ্বাস রাখেন না কলকির পার্টনার হার্শবার্গ। যে কারণে এখনো তারা অবিবাহিত। লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার আর অনুরাগের ডিভোর্সের আগে দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল- ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ এবং ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’।
‘মার্গারিটা উইথ এ স্ট্র’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘দ্য গার্ল ইন ইয়ালো বুটস’ এই ছবিগুলোতে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন কলকি।
কলকিকে সবশেষ পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্স ছবি ‘খো গায়ে হাম কাহাঁ’-তে পার্শ্ব চরিত্রে।