বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান পর্দায় তার প্রেমের দৃশ্যে অপলকদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয়। গোটা একটা প্রজন্ম তাকে দেখে প্রেমের ভাষা শিখেছে। শুধু অভিনয় নয়, তার বক্তব্যও মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন ভক্ত-অনুরাগীরা। মাথা গরম হলে তার অন্য রূপ দেখা যায়। শাহরুখের এমন স্বভাবের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন গৌরী খান।
পুরোনো একটি ঘটনার কথা তুলে ধরে শাহরুখপত্নী বলেন, শাহরুখ এতটাই চটেছিলেন যে এক বিনোদন ম্যাগাজিনের অফিসে হঠাৎ প্রবেশ করে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
বলিবাদশাহ শাহরুখ খান ও গৌরী খান প্রথম থেকেই বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসাবে পরিচিত। অন্যদের সবসময়ই তাদের সম্পর্ক অনুপ্রেরণা জুগিয়ে এসেছে। কিন্তু একটা সময় শাহরুখের নাম জড়ায় জুহি চাওলার সঙ্গে। সেই ম্যাগাজিনেই লেখা হয়েছিল— শাহরুখের সঙ্গে নাকি মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব চলছে জুহির। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেন নি কিং খান।
১৯৯৪ সালে গৌরী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—ওর (শাহরুখ) আর জুহির সম্পর্ক নিয়ে লেখা হয় এবং ‘ডর’ ছবির একটি দৃশ্য ছাপা হয়। এই খবর পড়ে ওদের অফিসে পৌঁছে যায় বাদশাহ। আমি শাহরুখকে এবং ওর সহ-অভিনেত্রীদের বিশ্বাস করি। খুবই ভালো সম্পর্ক প্রত্যেকের।
তিনি বলেন, লন্ডনে টানা ১০ দিন কাজল, তনুজা আন্টি, শিল্পা শেঠির সঙ্গে কাটিয়েছিলাম। শহরের নাটক দেখেছিলাম। একসঙ্গে কেনাকাটা করেছিলাম। গৌরী বলেন, শাহরুখকে সন্দেহ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ওকে সন্দেহ করার আগে বরং আমি মরে যাব বলে জানান শাহরুখপত্নী।
তিনি বলেন, আরও একবার মেজাজ হারিয়েছিলেন শাহরুখ। সুভাষ ঘাইয়ের পার্টিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোনোমতে শাহরুখকে টেনে সরিয়ে নিয়ে যান গৌরী। যদিও শাহরুখপত্নী জানতেন, দোষ ছিল সেই ব্যক্তিরই। তা-ও তার কাছে কাকুতিমিনতি করে সমস্যা থামিয়েছিলেন তিনি।