এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন স্ত্রী ও সন্তান
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি৷ এ আর রহমানের ঘর আর করবেন না তার স্ত্রী সায়রা বানু৷ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি৷
জানানো হয়েছে, বিয়ের এতগুলো বছর পর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- তিনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন৷ অনেক মানসিক চাপের পরই এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন তারা৷ নিজেদের মধ্যে অগাধ প্রেম থাকা সত্ত্বেও প্রচুর দূরত্ব তৈরি হয়েছে যা আর মেটার নয়৷ এমনই জানানো হয়েছে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে৷
অনেক দুঃখে এবং বেদনায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সায়রাকে৷ এই কঠিন সময় তিনি অন্তরালে থাকতে চান৷ সকলের যেন তার ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেন, এমনই অনুরোধ করেছেন তিনি৷
১৯৯৫ সালে বিয়ে হয় এ আর রহমান ও সায়রার৷ দেখাশোনার বিয়ে ছিল তাদের৷ রহমানের মা নিজে পুত্রবধূকে দেখে পছন্দ করেছিলেন৷ কারণ রহমান কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে তার সময় ছিল না বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার৷ ফলে মাকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল৷ একটি সাক্ষাৎকারে এমন জানিয়েছিলেন এ আর রহমান৷
তিনি আরও জানান, কাজে তিনি এতটাই ব্যস্ত যে মেয়ে খুঁজে বিয়ে করার মতো সময় ব্যয় করতে পারবেন না৷ আর তার স্ত্রীকে হতে হবে বুঝদার, এই দাবিও ছিল রহমানের৷ কারণ সঙ্গীতই তার জীবনের প্রথম প্রেম এবং সেই সঙ্গীত সাধনায় কোনো বাধা তিনি আনে পারবেন না৷ ফলে এমন মেয়েকে তিনি বিয়ে করবেন যে তাকে তার কাজের মধ্যে বিরক্ত করবে না, এই ছিল রহমানের শর্ত৷ এ আর রহমান ও সায়রার তিনটি সন্তান রয়েছে, খতিজা, রহিমা এবং আমীন রহমান৷
এদিকে মা-বাবার বিচ্ছেদের খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গায়কের ছেলে এ আর আমীন। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী সবার প্রতি একটি আহ্বান জানিয়েছেন তারকপুত্র।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে অস্কারজয়ী গায়কের ছেলে লিখেছেন, ‘আমাদের এই সময় পরিবারের যাবতীয় গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ করছি। বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ মঙ্গলবার তাদের এই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বিয়ের দীর্ঘদিন পর সায়রা বানু তার স্বামী এ আর রহমানের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।