টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাঙালির নতুন বছরে মায়ের কথা ভেবে সিনেমা ‘পুরাতন’ নিয়ে আসছেন। এ নিয়ে অভিনেত্রী কথা বলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।
এ অভিনেত্রী বলেছেন, ৬ নভেম্বরের পর কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল আমাদের। এখন দিনরাত্রি কাচের বাইরে থেকে উদ্বেগের চোখ নিয়ে মাকে দেখছি। আর পাঁচটা মানুষের মতোই আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্ক। একে অপরের আবেগকে ঘিরে আমার এই লম্বা জীবন।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘পুরাতন’ করতে গিয়ে পুরোনো বইয়ের গন্ধে ধুলোমাখা কবিতার কথাই মাকে বারবার খুঁজে পেয়েছি। ‘পুরাতন’ ছবিতে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর আমার মা হয়ে যেমন পুরোনোকে লালন করে রাখছেন, খুঁজে বেড়াচ্ছেন মুদিখানার দোকানের বিল। আমার মাকেও দেখেছি ঠিক সেভাবেই প্রাচীনকে আঁকড়ে থাকতে। মাকে যেমন কয়েক দিন আগেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলাম তার লেখা কবিতাগুলো। ছবিতেও আমি আমার মাকে অনেক পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিতে থাকি…।
তিনি বলেন, কষ্ট পাচ্ছে আমার মা। ক্রমাগত হাসপাতালে মাকে দেখতে দেখতে ঠিক করলাম— বাঙালির নতুন বছরে, মানে আগামী পহেলা বৈশাখে মা-মেয়ের গল্প ‘পুরাতন’ নিয়ে আসব। এই গল্প নির্ভরতার, আশ্রয়ের। আমার জীবনের সঙ্গে আচমকাই যেন আরও গভীর হয়ে মিশে গেছে ‘পুরাতন’।
মুম্বাইয়ে ‘পুরাতন’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ হয়েছিল ঋতুপর্ণার। ‘ভাবনা আজ ও কাল’ প্রযোজিত এই ছবি মা-মেয়ের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে। এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে শর্মিলার পাশে তার দুই মেয়ে সাবা আর সোহা ছিলেন। ছিলেন ছেলে অভিনেতা নবাব সাইফ আলি খান। ওদেরও মাকে নিয়ে নানা আবেগ। সাইফ তো সিঁড়িতে বসেই মায়ের ছবি দেখল। সারা আর সোহা মায়ের অভিনয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত। সেই ‘পুরাতন’ এবার কলকাতায়।