Logo
Logo
×

বিনোদন

মাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিল রুপালি, গুরুতর অভিযোগ এষার

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম

মাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিল রুপালি, গুরুতর অভিযোগ এষার

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সৎমায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এষা ভার্মা। কারণ বাবা সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

এর আগে ২০২০ সালের সেই পোস্টে অভিনেত্রী রুপালির বিরুদ্ধে মায়ের গহনা চুরি, মেরে ফেলার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ আনেন এষা ভার্মা। এবার আরও কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। জানালেন রুপালির কারণে তিনি ও তার মা কীভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শারীরিক নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন বাবা ও সৎমায়ের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এষা ভার্মা বলেন, আমি খুবই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। হাইস্কুলে কান্নাকাটি করতাম। সেই সময় ওই নারী (রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়) অবাঞ্ছিতভাবে আমাদের জীবনে চলে আসে। আমার মা-বাবার বিয়ে ভেঙে দেয়। 

তিনি বলেন, মুম্বাইয়ে আমার ঠাকুরদা-ঠাকুরমার বাড়িতে মাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিল। ওকে জয়ী হতে দেখছিলাম, সেটিই আমার কাছে সব থেকে বড় কষ্টদায়ক ছিল।

এষা শুধু সৎমা রুপালির দিকে আঙুল তুলেছেন এমন নয়; বাবা অশ্বিন কে ভার্মার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। এষা বলেন, খুব কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি— আমার বাবারও ভুল রয়েছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন তিনি। 

পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এষা। কারণ বাবা সেই পোস্টটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাকে। এষা বলেন, আমি যখনই এটা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি, বাবা আমাকে চুপ করিয়ে দিতেন। বাবার সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ, ভালোবাসার সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আমার জীবনের অংশ নন। আমার মনে হয় না উনি আমার বিয়েতেও আসবেন!

এষার বর্তমান বয়স ২৬ বছর। থাকেন নিউজার্সিতে। তিনি বলেন, সারাজীবন ধরে আমি কষ্ট সহ্য করে গেছি। আমি আর মা নিজেরা উপার্জন করে জীবন অতিবাহিত করেছি। বাবার প্রতি আরও ক্ষোভ উগরে দিয়ে এষা বলেন, কেন আমি এমন একটি মানুষের কথা শুনব, যিনি কখনো আমাদের পাশে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন! আমি বা আমার মায়ের জন্য কখনো পাশে দাঁড়াননি তিনি। জনসমক্ষে কখনো ক্ষমা চাননি আমার কাছে। আমাকে বা আমার বোনকে স্বীকৃতি দেননি। সবসময় ওদের ছেলে গুরুত্ব পেয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে এষার মা-বাবা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম